manobkantha

মনসুর আহমেদ চৌধুরীর ‘আপন আলোয় দেখা ভুবন’

ইনাম আহমেদ চৌধুরী :: আশার চেয়ে নিরাশার, আনন্দের চেয়ে বেদনার, প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তির অনুভুতি আমাদের জানা আজকের পৃথিবীকে প্রায় আছন্ন করে রেখেছে। মনসুর আহমেদ চৌধুরীর অতীব সুখপাঠ্য আত্ম-জৈবনিক গ্রন্থ ‘আপন আলোয় দেখা ভুবন’ পাঠককে আরেকটি পৃথিবীতে নিয়ে যায়। সেখানে মানুষ হাজারো বাধা-বিপত্তি, প্রতিবন্ধকতা, আপাত-ব্যর্থতা, নিরাশা, দুঃখ-বেদনা, বঞ্চনা, বিরহ-সংকট সত্বেও সে সব ছাড়িয়ে আশা, সস্তুষ্টি ও অর্জনের আনন্দলোকে বিচরন করে। সেখানে রয়েছে অন্ধকার টানেলের পরে সর্ব-দুঃখনাশিনী আলোর হাতছানি।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে একটি সুধি সমাবেশে ‘সময় প্রকাশন’ প্রকাশিত বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ও আলোচনা শুনে ভেবেছিলাম, এর একটি ‘রিভিউ’ লিখব-জনসমক্ষে বইটিকে আমার অতীব সীমিত সামর্থ্য দিয়েই যথাসাধ্য পরিচয় করিয়ে দেবার সামান্য প্রচেষ্টা হিসেবে। সন্দেহাতীত ভাবে স্থান-কাল, সামাজিক অবস্থান, বয়স ও মতামত নির্বিশেষে এই বইয়ের সকল পাঠকই উৎসাহিত, উদ্বুদ্ধ ও আনন্দিত হবেন।

আত্মীয়তার সম্পর্কে ভ্রাতুস্পুত্র স্নেহভাজন মনসুরের সঙ্গে আমার আজন্ম পরিচয়। তা ছাড়াও বর্তমানে গত দুই দশকাধিক কাল থেকে সেবাধর্মী এনজিও ‘ইম্প্যাক্ট’ এর ট্রাষ্টী বোর্ডে এক সঙ্গে কাজ করেছি। দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা সত্বেও জ্ঞান আহরনে তার অদম্য আগ্রহ ও সামর্থ্য, সর্বক্ষেত্রে তার আশাবাদ এবং কখনও পরাজয় না মেনে, হতোদম্য না হয়ে সাফল্য অর্জনের জন্য তার অক্লান্ত প্রচেষ্টা আমাকে (এবং তার পরিচিত সর্বজনকে) সব সময়ই চমৎকৃত ও অভিভূত করেছে। সুলিখিত এই বইটির প্রত্যেক পাতায়ই মনসুরের ব্যক্তিত্ব ও সর্বজয়ী আশাবাদের উজ্জ্বল স্বাক্ষর।

দেশ বরেন্য অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বইটির একটি অত্যন্ত চমৎকার ও অর্থবহ ভুমিকা লিখেছেন- শীর্ষনাম ‘এক আলোক সন্ধানী মানুষের আত্ম কথন’। সেখানে তিনি ‘গ্রন্থকার এবং গ্রন্থ’এই দুইয়ের উপরে যথোচিত আলোকপাত করেছেন। গ্রন্থকারের পরিচিতি নিঃসন্দেহে বইটির সম্যক অনুধাবনকে সহজ-সাধ্য করে তুলবে। জনপ্রিয় ও পাঠক সমাদৃত লেখক অধ্যাপক জাফর ইকবালের বইটির উপরে লিখিত একটি সাম্প্রতিক বিশ্লেষনাধর্মী সপ্রশংস ‘রিভিউ’ বইটি পঠনে আগ্রহ জন্মায়।

লেখকের দৃষ্টিহীনতা-হেতু বইটি রচিত হয়েছে কষ্ট-সাধ্য শ্রুতি-লিখনের মাধ্যমে। কিন্তু তাতে মানের বা বক্তব্য প্রকাশের স্বাভাবিকতার কোন হানি হয়নি; বরং একটি সাবলীল ও স্বছন্দ বাচন ভঙ্গীই বজায় রয়েছে। তবে গ্রন্থকার মনসুর কি করে তার কর্মময় কীর্তি-মহান জীবনের উল্লেখযোগ্য সব ঘটনার স্থান-কাল, দিন-তারিখ ক্ষণ এবং সংশ্লিষ্ট সব কিছু সঠিক ক্রমে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে স্মৃতিতে ধরে রাখতে পেরেছেন এবং অনবদ্য ভাবে তা বিবৃত করতে পেরেছেন, তা সত্যিই বিস্ময়কর।

মনসুর তাঁর বেচেঁ থাকা, বেড়ে ওঠা ও জীবন ধারনের বর্ননাতে পারিপার্শ্বিকতাকে উপেক্ষা করেননি। ইতিহাস-মান্যতা বজায় রেখে অবিচ্ছেদ্য ভাবেই পরিবর্তনশীল পটভুমি জীবন্ত হয়ে উঠেছে তার সাবলীল প্রান্তবন্ত ধারা-বর্ননায়। ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসন-অন্তে স্বাধীনতা প্রাপ্তি কালে গণ-ভোটে পাকিস্তানে যোগদানকারী সিলেটের তদানীন্তন এক মহাকুমা শহরে তার জন্ম। শৈশব আর কৈশোরে তার ‘আলো থেকে অন্ধকারে’ এবং পরে অন্ধকার জয়ের প্রচেষ্টার সূচনা। আত্মবিকাশের সব বাধা অতিক্রম করে উচ্চশিক্ষা আহরনের জন্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনসুরের শিক্ষা গ্রহনকালীন অবস্থায় হলো বাংলাদেশের অভুদ্যয়। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী ওখান থেকেই অর্জন করে প্রতিবন্ধী হিসেবেই দক্ষতা বৃদ্ধি, জ্ঞানার্জন, নেতৃত্ব প্রশিক্ষন ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি উচ্চশিক্ষা ও ট্রেনিং এর জন্যে সুইডেন, মালয়েশিয়া, জাপান, নরওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বিশ^বিদ্যালয় এবং বিভিন্ন ট্রেনিং ইন্সটিউটে শিক্ষা গ্রহন করেন। জড়িত হয়ে পড়েন প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা প্রতিষ্ঠার নিবেদিত-প্রাণ সংগ্রামে। বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক ও জাতীয় উদ্যোগের সঙ্গে হন সম্পৃক্ত। জাতিসংঙ্গ মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, ডিসএ্যাবিলিটি কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল, বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস সহ বহুবিধ প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডে তার রয়েছে উল্লেখযোগ্য সম্পৃক্ততা। জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক বহু কনফারেন্স সেমিনারে করেছেন অংশগ্রহন, ভ্রমন করেছেন বহু দেশ। দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা তার সামাজিক সচেতনতা ও সংস্কৃতিক উপলদ্ধির বিকাশকে কোন ক্রমেই অবদমিত করতে পারেনি। পেয়েছেন তিনি বহু জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি ও সম্মান। এ সব উদাহরন বাস্তবিকই শুধু প্রতিবন্ধী নয়, সব মানুষকেই উদ্বুদ্ধ করে, প্রানিত করে, বাধা-বিপত্তি ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যেতে তাড়িত করে। আমার মনে হয়, উচ্চতর জাতীয় সম্মাননা যেমন একুশে পদক বা স্বাধীনতা পুরষ্কার আবশ্যিক ভাবেই তার প্রাপ্য। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সুবিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানাই। এ জাতীয় স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে অন্যদের অধিকতর উজ্জীবিত করবে। বস্তুত পক্ষে, মনসুর যথার্থই বলতে পারেন ‘আমার জীবনই আমার বানী’। বইটিতে তার সংগ্রামী কর্মমুখর জীবন কাহিনী ‘আশা-আশাভঙ্গ-আশা’র অপূর্ব সংমিশ্রনে নিপুন মুনশিয়ানায় বিবর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক পটভূমে বিবৃত হয়েছে। ঘটনা প্রবাহের সুশৃঙ্খল বিন্যাসে, সাবলীল-কথনের প্রাঞ্জল সরলতায় হয়েছে জীবন অভিজ্ঞতার অপূর্ব রূপায়ন।

জান্নাতবাসী পিতা-মাতা সমীপে উৎসর্গীকৃত বইটিতে লেখকের উক্তি তারা ‘বজ্রকঠিন মনোভাব ও পৃথিবীকে উপলদ্ধি করার সমুদ্রসম বিশালতা দিয়ে’ তাকে প্রতি পদে অনুভব করিয়েছেন হেরে যাবার জন্য জন্ম হয়নি, বরং নিজেকে প্রমান করার মধ্যেই রয়েছে বেঁচে থাকার সার্থকতা।

অভাবিত একটি সামান্য দুর্ঘটনায় এক বিশ্বখ্যাত চক্ষু চিকিৎসকের সম্ভাব্য গাফিলতিতে চিরজীবনের জন্য মনসুরকে দৃষ্টি হারাতে হল। আলো থেকে অন্ধকারে হল তার চির নির্বাসন। কিন্তু এতে তার খেদ নেই, অভিযোগ নেই, নেই কোন ক্ষোভের প্রকাশ। বরং একটি গানকেই সারা জীবনের প্রার্থনা সংগীতের মতো সে গ্রহন করল-
‘এই করেছ ভালো, নিঠুর হে, এই করেছ ভালো,
এমনি করে হৃদয়ে মোর তীব্র দহন জ্বালো’।
জীবন চলার পথে দৃষ্টিহীনতা বহু অন্তরায়ের সৃষ্টি করেছে। ঢাকা কলেজে ভর্তি হবার সময় তদানীন্তন প্রিন্সিপাল প্রয়াত জালালউদ্দিন সাহেব প্রথমে দৃষ্টিহীনতা-জনিত অসুবিধার জন্য ভর্তি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরিশেষে মনসুরের পিতার বিশেষ সহায়তা-প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাসে রাজী হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরীতে একজন বন্ধু মনসুরকে বই থেকে প্রয়োজনীয় শব্দ করে পড়ে সহায়তা করেছিল বলে লাইব্রেরিয়ান তাকে নিষিদ্ধ করে দেন। আবার স্কলারশিপের টাকা উঠাতে দু’তিন যায়গায় স্বাক্ষরের বাহ্যতঃ গরমিল মনে হলে একাউন্ট্স্ অফিস বৃত্তি প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করে। উভয় ক্ষেত্রেই ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে সরাসরি অভিযোগ করলে ছাত্র-বান্ধব ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন স্থিত-ধী ভিসি ড. ওসমান গনি নিজেই তাৎক্ষনিক ফোন করে সমস্যার অবিলম্ব সমাধান করে দেন। পত্র-পত্রিকায় মনসুরের শিক্ষাগত সাফল্যের কথা দেখে পাকিস্তানের শক্তিমান প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ৯ আগষ্ট ১৯৬৬ সনে তাঁর অফিসের যোগাযোগ মারফত মনসুরকে ডেকে এনে সাক্ষাৎ করে প্রভূত উৎসাহ ও সহায়তার আশ্বাস দেন। পত্রিকাদিতে প্রকাশিত এই সংবাদ সমাজে মনসুরের জন্য আনুকূল্যের সৃষ্টি করে। ইমিগ্রেশন, ভিসা প্রাপ্তি এবং অন্যান্য বহু-বিধ স্থানে হয়েছে মনসুরের বাধা ও বিপত্তি। কিন্তু তা সব মোকাবেলা করে মনসুর এগিয়ে গেছে।

মনসুরের সাবলীল ও চমকপ্রদ বর্ননায় তার যাপিত জীবনকালীন ছাত্র, সমাজ ও রাজনীতির চিত্র সুন্দর স্বভাবিকতায় ফুটে উঠেছে। তার ঢাকা কলেজ এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের দিন গুলোর চিত্রগ্রাহী বর্ননা ঐ দুই বিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব ছাত্র হিসেবে আমার মনেও নষ্টালজিয়ার সৃষ্টি করে। বিবরনী পড়ে মনে হয় আমাদের পঞ্চাশের দশকের মত অন্ততঃ মধ্যষাট দশকেও ঢাকার ছাত্র সমাজে একটি পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহনশীলতার পরিবেশ বজায় ছিল। বর্তমানের হিংসা বিদ্বেষ, উচ্ছৃখলতা, লেজুড়-বৃত্তি ও পেশী-শক্তিতে প্রভাবান্বিত পরিবেশের সৃষ্টি তখনও হয়নি। ১৯৬৬ সনের ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের শান্তিপূর্ন নির্বাচনের কথা মনসুর বিবৃত করেছেন। মনে পড়ে, ১৯৫২-৫৩ সনের ঢাকা কলেজ ছাত্র-সংসদে আমি জেনারেল সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছিলাম। কি সুন্দর শান্তিপূর্ন পরিবেশ তখন ছিল। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহন ও কলেজ প্রাঙ্গনে অননুমোদিত শহীদমিনার নির্মানের অভিযোগে আমাকে কলেজ থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে যে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তাতে যোগদান করেছিল দলমত নির্বিশেষে সব ছাত্ররাই। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে এস এম হলে একাধিক নির্বাচন করে জয়ী হয়েছি, কিন্তু কখনও কোন হানাহানি, বল প্রয়োগের প্রশ্নই হয়নি। পড়ে মনে হলো সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অনুষ্ঠান মনসুরের অধ্যয়ন কালে আমাদের কালের মতই ছিল নিরুপদ্রব, নির্ঝঞ্জাট, আনন্দদায়ক। পেশী শক্তি-নির্ভর দলীয় রাজনীতি-কেন্দ্রিক, বিদ্বেষ পূর্ন ছাত্র রাজনীতি সম্ভবত তৎপরবর্তীকাল থেকেই শুরু।

মনসুর তার জীবনের ঘটনাবলীর সঙ্গে স্মৃতিতে স্বজন বন্ধু ও সহকর্মীদের কথা উল্লেখ করেছেন। লিখেছেন বর্তমান সময় আর তার “চোখে দেখা” করোনাকালীন পৃথিবীর বিবরন। বলেছেন তার বিভিন্ন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা আর দিয়েছেন বহু বিচিত্র জনের মধুর সমমর্মিতার আর প্রীতি-স্নিগ্ধ আচরনের উদাহরন। ভালো দিন, মন্দ দিনের কথা। কিন্তু সবক্ষেত্রেই রয়েছে জীবনের প্রতি তার গভীর ভালোবাসার, অশেষ জীবন তৃঞ্চার স্বাক্ষর।ঔড়রব ফবারাৎব তার জীবনের মন্ত্র। জীবনে মনসুর স্বাভাবিকাধিক ট্র্যাজেডির ভুক্তভোগী হয়েছেন। পোহাতে হয়েছে অভাবনীয় বহু দুর্ভোগ। ১৯৮৫ সনে একজন অতীব চমৎকার মেয়ে জেসমিনের সঙ্গে বিয়ে তার জন্য এক শান্তিময় আনন্দের যুগ সুচনা করলেও পরের বছরই ওকে পিতৃহারা হতে হল। দাম্পত্য সুখ ও তার বেশী দিন টেকেনি। দশ বছরের মধ্যেই দুরারোগ্য ক্যান্সার অকালে পরম দুঃখজনকভাবেই জেসমিনকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল। জীবিত একমাত্র (বড়) ভাই সম্পূর্ন স্বাস্থ্যবান কর্মপটু সফল বিজনেস-এক্সিকিউটিভ অভিবাবকতুল্য নিয়াজ চৌধুরী গ্লুকোমায় হয়ে গেলেন প্রায় সম্পূর্ন দৃষ্টিহীন। মনসুর বিষাদাক্রান্ত, তবে হতোদ্যম নন।

বর্তমানে মনসুর তার যোগ্য কৃতি পুত্র বিপুল (জাহিদ আহমেদ চৌধুরী) ও নব-বিবাহিত পুত্রবধূ সামরিনকে নিয়ে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যহানি সত্বেও পারিবারিক প্রশান্তিতে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে সম্পৃক্ত হয়ে কর্মরত রয়েছেন। এখন ও দেখছেন শান্তি, প্রীতি, প্রগতি, সমৃদ্ধি ও সহযোগিতার দুনিয়ার স্বপ্ন। আশা করছেন কালক্রমে গড়ে উঠবে সুন্দর পৃথিবীতে আমাদের অভীষ্ট সোনার বাংলাদেশ।

পরিশেষে অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের লিখিত ভুমিকার শেষতম বাক্যের অতুলনীয় ও যথোপযুক্ত শব্দ গুলিরই পুনরুক্তি করতে চাই-‘আপন আলোয় দেখা ভুবন’ যত বেশী পাঠক পড়বেন তত একটা অভয় বানী ছড়িয়ে পড়বে “অসম্ভবকে সম্ভব করার শক্তি আমাদের মধ্যেই আছে, তাকে খুজে নিতে হয়।”