manobkantha

সরিষার হলুদ ফুলে ছেঁয়ে গেছে চলনবিল

চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশের ফসলি মাঠগুলো এখন সরিষার হলুদ ফুলে ছেঁয়ে গেছে। যেন হলুদের বিল এখন চলনবিল। বিলের যে দিকে চোখ যায় চারিদিকে শুধু হলুদ ফুলের সমারোহ। সবুজ গাছের ডোগায় হলুদ ফুল। সে ফুলে আবার মৌ-মাছির আগমন। এ যেন এক অপরুপ সুন্দর্য্যর বাহন। একই মাঠ থেকে একদিকে কৃষকের ঘরে যাবে সরিষা অন্য দিকে মৌ-চাষী সংগ্রহ করবে মধু। মৌ-মাছির গুনজনে মুখরিত এখন পুরো চলনবিল। সে অপরুপ সুন্দর্য্য উপভোগ করতে গ্রাম থেকে শহর বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিনই চলনবিলে বেড়াতে আসছেন ভ্রমন পিপাসুরা।

জানা গেছে, এ বছর বিল থেকে বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় কৃষক অন্য বছরের তুলনায় আগেই আগাম জাতের সরিষা বীজবপণ করেছেন। ফলে পাকা সরিষা উঠানো যাবে অনেক আগেই। সরিষার গাছ ও ফুল সতেজ এবং সুন্দর হওয়ায় ভাল ফলনের আশা করছেন কৃষক। আর কৃষি বিভাগ বলছেন, সরিষার বাম্পার ফলনের জন্য সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে কৃষক-কৃষানীদের সঠিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২০০ হেক্টর জমিতে আর অর্জিত হয়েছে ৬০২০ হেক্টর। যা ৮২০ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত সরিষার আবাদ হয়েছে।

উপজেলার কুন্দইল গ্রামের সরিষা চাষী সুজন সরকার, শরিফুল ইসলাম, কামাশোন গ্রামের নাসির সরকার, গোলজার হাজ্বীসহ বেশ কয়েকজন জানান, আবহাওয়া ভাল থাকায় এবার সরিষার গাছ ও ফুল অনেক ভাল হয়েছে। আমরা আশা করি বাম্পার ফলন হবে। আর বিগত বছরের তুলনায় এ বছর জমিতে সরিষা আগে রোপন করায় দামও ভাল পাবেন বলে তারা আশা করেন। আর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশক্রমে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে কাজ করছি। সরিষার ফলন ভাল করতে সব সময় কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের উপজেলায় কৃষকের সরিষার আবাদ বাড়তি আয়ে সহায়ক। বিল এলাকায় সরিষার আবাদ বাড়ানোর জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করেছি। যার ফলে এবার কৃষকও আগ্রহের সাথে সরিষার আবাদে ঝুকছে। আশা করি চলতি রবি মৌসুমে তাড়াশে সরিষার বাম্পার ফলন হবে।