manobkantha
এবারও পাচারের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ

শিলং রোডে বিএসএফ-কাস্টমসের যৌথ অভিযান, বাজেয়াপ্ত ১৭ হাজার ইয়াবা

এবারও পাচারের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ

ফের বাংলাদেশে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের প্রয়াস ভেস্তে দিল বর্ডার সিক্যুইরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং কাস্টমসের ডিভিশনাল প্রিভেন্টিভ ফোর্স। মঙ্গলবার রাত দুটায় শিলচর-শিলং রোডের হিলাড়া রেলক্রসিংয়ে এমএল ০৫ পি ৮৬৫৪ নম্বরের অল্টো কারে তল্লাশি চালিয়ে ৮৯টি প্যাকেটে মোড়ানো ১৭ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়। গাড়ির পেছনের বামদিকের দরজায় বিশেষ কক্ষ বানিয়ে ওই ট্যাবলেট পাচার করা হচ্ছিল। এ ঘটনায় গাড়িচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিএসএফ জানিয়েছে যে ওই সড়ক ধরে যে বিশাল পরিমাণের নেশার ট্যাবলেট পাচার হবে তার গোপন খবর তাদের কাছে ছিল। তাই বিএসএফ ফিল্ড ইনটেলিজেন্স ইউনিটকে অভিযানের দায়িত্ব দিয়ে কাস্টমসকেও জানানো হয়। পরে দুই বাহিনীর যৌথ অভিযানে সাফল্য মেলে। অভিযানে বাজেয়াপ্ত ৮৯টি প্যাকেটের মধ্যে ৬৮টি প্যাকেট ছিল নীল এবং ২১টি প্যাকেট ছিল কালো রঙের পলিথিন দিয়ে মোড়ানো।

রাতের অভিযান শেষ হওয়ার পর অল্টো কার ও চালককে শিলচর শহরের অদূরে অরুণাচল স্থিত বিএসএফ মিজোরাম-কাছাড় ফ্রন্টিয়ারের সদর দফতরে নিয়ে আসা হয়। এখানে ধৃত চালককে বিএসএফের শীর্ষকর্তারা জেরা করে জানতে পারেন যে ইয়াবা ট্যাবলেটের গন্তব্য ছিল বাংলাদেশ। ধৃত চালক জানিয়েছে যে শিলংয়ের জনৈক সেবাস্টিন নামের এক ব্যক্তি তাকে ট্যাবলেট পাচারের বরাত দেয়। আসামের কাছাড় ও করিমগঞ্জ জেলা হয়ে এই ট্যাবলেট ত্রিপুরার কৈলাশহরে এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব ছিল তার। কৈলাশহর থেকে যা বাংলাদেশে পাড়ি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঝপথেই ধরা পড়ে গেছে চালক।

সকালে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি, চালক ও বাজেয়াপ্ত ইয়াবা ট্যাবলেট কাস্টমসের হাতে তুলে দিয়েছে। পরে ওই চালককে করিমগঞ্জের বিশেষ আদালতের বিচারকের সম্মতিতে নিজেদের হেপাজতে রেখেছে শুল্ক বিভাগ। ধৃত চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশদ তথ্য সংগ্রহ করার পর জেলে পাঠানো হবে। উল্লেখ করতে হচ্ছে গত ১১ ডিসেম্বর কাছাড় পুলিশ শিলচর-আইজল জাতীয় সড়কে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করে। আবার গত ১৪ ডিসেম্বর গুয়াহাটি পুলিশ একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেছিল। উভয় ক্ষেত্রেই পাচারের গন্তব্য ছিল বাংলাদেশ।