
বাংলাদেশে পাচারের আগেই ২ লাখ ইয়াবা বাজেয়াপ্ত, গ্রেপ্তার ৫
চার রাজ্য জুড়ে নেটওয়ার্ক- অনলাইন ডেস্ক
- ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:৩৮

বিপুল পরিমাণ নেশার ট্যাবলেট বাংলাদেশে পাচার করার প্রয়াস ভেস্তে দিল অসমের কাছাড় জেলা পুলিশ। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে অসম ও মিজোরাম সংযোগী জাতীয় সড়কে একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ২০ টি প্যাকেটে মোড়া ২ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই ট্রাক থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সুমন সরকার নামের আরও এক যুবককে আটক করে। সুমনের বাড়ি অসম- ত্রিপুরা সীমান্তের একটি গ্রামে। এই সুমনই পুলিশকে ট্যাবলেট বাংলাদেশে পাচার করার পরিকল্পনার কথা জানায়।
কাছাড়ের পুলিশ সুপার নুমল মাহাত্তো আজ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, মিজোরামের চাম্পাই জেলা থেকে বিপুল পরিমাণের নেশাজাতীয় সামগ্রী কাছাড় জেলা হয়ে পাচার করার খবর তাদের কাছে ছিল। তাই গত ১৫ দিন ধরে শিলচর-আইজল জাতীয় সড়কে বিশেষ নজরদারি রাখা হয়। গত শুক্রবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে ওই ট্রাকটিকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করার পর ওই ট্রাক থেকে অসমের কামরূপ জেলার চন্দন দোলে, মেধিরাজ হাজং, রাজদীপ পাল এবং মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম খাসি হিলস জেলার বাহধূয়া ওয়ার্বাংলং নামের চার যুবককে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই চার যুবক পুলিশকে জানায় যে তাদের কাছ থেকে ট্যাবলেট সমঝে নিতে জাতীয় সড়ক ধরেই অন্য এক যুবক অপেক্ষা করছে। কৌশল গ্রহণ করে পুলিশ সুমন সরকার নামের ওই যুবককেও আটক করে। পুরো অভিযানে এসপি নুমল মাহাত্তো নিজেই নেতৃত্ব দেন।
পরে ধৃতদের অসম-মিজোরাম সীমান্তের ধলাই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। টানা জেরা করে পুলিশ জানতে পারে যে বিপুল পরিমাণের এই ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে পাচার করার লক্ষ্য ছিল। ত্রিপুরা রাজ্যের ধর্মনগর এবং কৈলাশহর হয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার চোরাই পথে এক লাখ ট্যাবলেট পাচারের দায়িত্ব ছিল সুমন সরকারের। তার বাড়ির ভৌগোলিক অবস্থান ইন্দো-বাংলা সীমান্তের অদূরেই। আর মেঘালয়-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবশিষ্ট ট্যাবলেট পাচারের দায়িত্ব ছিল বাহধূয়ার কাছে। কিন্তু পুলিশের সক্রিয়তায় তা ভেস্তে গেছে। এসপি-র মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে বাজেয়াপ্ত ইয়াবা ট্যাবলেটের মূল্য ৫০ কোটি টাকা (ভারতীয়) হবে।