manobkantha

মেধাবী মুখ নাঈম হাসান

চেষ্টা থাকলে সবই সম্ভব, যা করে দেখিয়েছেন নাঈম হাসান। তিনি এখন কাতার এয়ারওয়েজে সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন। নাঈম ২০১৭ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে কলেজ অব এভিয়েশন টেকনোলজিতে বিবিএ ইন এভিয়েশন ম্যানেজমেন্টে ভর্তি হন। সেখান থেকেই তার পথচলা শুরু। '

তার শুরুটা কিভাবে হয়েছিল জানালেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিবিএ ইন এভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট একটি ভিন্নধর্মী সাবজেক্ট। অনেক ভেবেচিন্তে সেখানে ভর্তি হই। প্রথম বর্ষেই আমি ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের এভিয়েশন ব্লকচেইন সামিট আবুধাবিতে অংশগ্রহণ করি। ওই কনফারেন্স আমাকে একাডেমিক জ্ঞানের পাশাপাশি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করে। দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালে দিলি­ এয়ারপোর্ট আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের কনফারেন্সে যোগ দিই। সেই কনফারেন্স আমাকে আরও বেশি দক্ষ করে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় আমি ২০১৯ সালে তিন মাসের ইন্টার্নশিপ নিয়ে নাইজেরিয়ায় যাই এবং সফলতার সঙ্গে ইন্টার্নশিপ শেষ করি। ইন্টার্নশিপ থেকে আমি আমার একাডেমিক জ্ঞান কিভাবে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হয়, তা শিখি। এরই মধ্যে আমার সুযোগ তৈরি হয়ে যায় ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে ছয় মাসমেয়াদি ইন্টার্নশিপের। ইন্টার্নশিপের শেষ পর্যায়ে কাতার এয়ারওয়েজ তাদের এয়ারলাইন্সের জন্য লোকবল নিয়োগ দিচ্ছিল। আমি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলাম। আমি আবেদন করি। এক মাস পর কাতার এয়ারওয়েজ থেকে জানতে পারি, আমি শর্টলিস্টেড হয়েছি। পরে ই-মেইল করে জানানো হয়, আমি নির্বাচিত হয়েছি।

নাঈম হাসানের মতে, আমরা যদি গতানুগতিক বিষয়ে না পড়ে একটু যুগের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে নতুন বিষয়ে পড়ি এবং তা যদি হয় আবার চ্যালেঞ্জিং তবে আমাদের সামনে আসবে এভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি। এটি এমন একটি বিষয়, যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে ক্যারিয়ারভিত্তিক। বিবিএ ইন এভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট হলো বিমানবন্দর বা এয়ারলাইন্স ম্যানেজমেন্ট, এয়ারলাইন্স অ্যাকাউন্টিং, এয়ারলাইন্স মার্কেটিং, এয়ারলাইন্স ফিন্যান্স, বিমানবন্দর এয়ারক্রাফট পরিচালনা ম্যানেজমেন্ট, বিমানবন্দর কাস্টমসসহ সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরে নিজেকে চাকরির জন্য যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পড়াশোনার অন্যতম একটি বিষয়।

যোগাযোগ :প্লট নং-২২, রোড-১৩, সেক্টর-১৬, উত্তরা, ঢাকা । ফোন: ০১৯২৬৯৬৩৬৫৩। ওয়েব: www.catechedu.com