manobkantha

‘সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নির্দেশেই প্রতিমা ভাঙচুর করে’

শৈলকুপা উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি দিনার হোসেনসহ দুজন এসব প্রমোদতরী চালাতেন। সম্প্রতি সেখানে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ দুটি প্রমোদতরী জব্দ করে থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় পুলিশকে 'শায়েস্তা' করতে সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পনা করেন দিনার হোসেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ডাউটিয়া গ্রামে কালীমন্দিরে ঢুকে প্রতিমার মাথা ভেঙে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহম্মদ আশিকুর রহমান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৬ অক্টোবর রাতে ডাউটিয়া গ্রামে কে বা কারা কালীমন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভেঙে রাস্তায় ফেলে রাখে। এ ঘটনায় মন্দির কমিটির সভাপতি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলে মামলার তদন্তভার দেয়া হয়। সেলের সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত বুধবার কুশবাড়িয়া গ্রামের আরব আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান হিরোকে আটক করে। তিন দিনের রিমান্ড নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় পুলিশের কাছে হিরো প্রতিমা ভাঙচুরের কথা স্বীকার করেন।

তিনি পুলিশকে জানান, ধলহরাচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের ছেলে দিনার হোসেন ও অপর ব্যক্তি জিনারুল দীর্ঘদিন ধরে গড়াই নদীতে ইঞ্জিনচালিত বড় ট্রলারে ১৫-১৬ জন নারী দিয়ে অশ্লীল নাচ-গান ও জুয়ার আয়োজন করে আসছেন।

গত ৫ অক্টোবর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলারসামগ্রী, সাউন্ড বক্স, রান্না করা খাবারসহ দুটি ট্রলার জব্দ করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দিনার হোসেন ঘটনার দিন রাতে পাঞ্জাব আলী খানের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার খান, আমজাদ হোসেনের ছেলে ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনসহ তাকে বাড়িতে ডেকে আনেন। ট্রলার জব্দের ঘটনার বদলা ও পুলিশকে শায়েস্তা করতে হবে বলে পরিকল্পনা নেয়। দিনারের নির্দেশে তিনিসহ সাজ্জাদ ও তুষার ডাউটিয়া কালীমন্দিরে ঢুকে কালিমূর্তির মাথা ভেঙে রাস্তায় ফেলে রাখেন।

পুলিশ সুপার জানান, মূল পরিকল্পনাকারী দিনার হোসেনকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, দিনার হোসেন আত্মগোপনে থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের সঙ্গে কথা বলতে তাঁর ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

মানবকণ্ঠ/এমআই