
ভারতের ভোপালে আব্দুল কালাম নামে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গত আট বছর ধরে ভোপাল শহরে 'নেহা' পরিচয়ে একজন রূপান্তরিত নারী (ট্রান্সজেন্ডার) হিসেবে ছদ্মবেশে বসবাস করছিলেন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শনিবার এই চাঞ্চল্যকর খবরটি প্রকাশ করেছে।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, কালাম ১০ বছর বয়সে ভারতে প্রবেশ করেন। ভোপালের বুধওয়ারা এলাকায় স্থায়ী হওয়ার আগে তিনি প্রায় দুই দশক মুম্বাইয়ে কাটান। এরপর তিনি ‘নেহা’ নাম নিয়ে হিজড়া সম্প্রদায়ের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। স্থানীয় কিছু দালালের সাহায্যে তিনি জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে আধার কার্ড, রেশন কার্ড, এমনকি একটি ভারতীয় পাসপোর্টও জোগাড় করেন।
পুলিশের তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে, আব্দুল শুধু ভুয়া পরিচয় নিয়েই থাকেননি। তিনি সেই জাল ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশেও ভ্রমণ করেছেন। বুধওয়ারা এলাকায় বেশ কয়েকবার বাসা পরিবর্তন করেছেন তিনি। সবাই তাকে ‘নেহা’ নামেই চিনতেন। তিনি শারীরিকভাবে রূপান্তরিত নারী কিনা, নাকি শুধু আইনি ঝামেলা এড়ানোর জন্য এই পরিচয় ব্যবহার করেছেন, তা জানতে এখন তার লিঙ্গগত পরীক্ষা চলছে।
পুলিশ জানায়, আব্দুলকে ভুয়া পরিচয়পত্র পেতে সাহায্য করার অভিযোগে দুই স্থানীয় যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
অতিরিক্ত ডিসিপি শালিনী দীক্ষিত জানানা, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তারা এই তদন্তে নামেন। এর মধ্যে আব্দুল বাংলাদেশেও যাতায়াত করেছেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো থেকে প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্তৃপক্ষ আব্দুল কালামকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে তার আগে তার অতীত কার্যক্রম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে
Comments