
গোপালগঞ্জে সম্প্রতি সংঘটিত সহিংস ঘটনায় দায়ের করা চারটি মামলায় মোট ৩ হাজার ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০৬ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জেলার গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী ও কোটালীপাড়া থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এই চারটি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।
সর্বশেষ, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাতপাড়ায় গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং রাস্তায় গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি নতুন মামলা (মামলা নম্বর ১৬) দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুন বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। এতে ৫৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাতেই এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সব মিলিয়ে, এই চারটি মামলায় মোট ৩৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ ৩ হাজার ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে, যা জেলার ইতিহাসে সাম্প্রতিক সময়ে দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ।
গত ১৬ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোট ৩০৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলার পাঁচটি থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জ সদর থানায় নতুন ৪৪ জনসহ ৯২ জন, কাশিয়ানী থানায় নতুন ৩৩ জনসহ ৭৭ জন, মুকসুদপুর থানায় নতুন ২২ জনসহ ৮৮ জন, টুঙ্গিপাড়া থানায় নতুন ১০ জনসহ ২৭ জন এবং কোটালীপাড়া থানায় নতুন ১০ জনসহ ২২ জনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে।
গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিকে ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ এবং নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘাত বাধে। ওই ঘটনায় গুলিতে পাঁচজন নিহত এবং অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এই সহিংসতার জেরেই এসব মামলা দায়ের এবং গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।
Comments