
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ সম্পাদক নেতা কামরুল হাসান খোকন মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে দুই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে পুলিশের পাহারায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নেন। পরে ওয়াবদা জামে মসজিদে পারিবারিক কবরস্থানে তার মাকে দাফন করা হয়। দাফন শেষে রাত ১১টায় তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
কামরুল হাসান খোকন পৌর শহরে শাহপাড়া এলাকার মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে। তিনি কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক এবং ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
পুলিশ ও জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে কামরুল হাসান খোকনের মা নুরজাহান বেগম (৮২) ঢাকায় তার বাসায় মারা যান। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি। মায়ের মৃত্যুর খবরে কারাগারেই ভেঙে পড়েন তিনি। শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখতে ও জানাজা এবং দাফনে অংশ নেওয়ার জন্য পরিবারের পক্ষে থেকে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে দুই ঘণ্টার জন্য রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাকে প্যারোলে মুক্তি দেন। এরপর তাকে পুলিশ পাহারায় নিজ এলাকায় নেওয়া হলে তিনি মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নেন। পরে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর তাকে আবার কারাগারে নেওয়া হয়।
Comments