
প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিসহ ১৩১ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ) টার্মিনাল ১-এ মালয়েশিয়ান বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সি তাদের দেশটিতে প্রবেশ করতে দেয়নি।
দেশটির গণমাধ্যম দ্য সান ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহজনক হোটেল বুকিং, এক সপ্তাহ থাকার মতো যথেষ্ট অর্থ সঙ্গে না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে তাদের ফেরত পাঠায় মালয়েশিয়ান বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রোটেকশন এজেন্সি। সোমবার (১৪ জুলাই) বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১ এ এই অভিযানে ৩০০ বেশি ব্যক্তির স্ক্রিনিং করা হয়।
এ সময় দেশটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণে ব্যার্থ ১৩১ বিদেশি নাগরিককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এদের মধ্যে কিছু পর্যটক এক মাস থাকার দাবি করলেও তাদের কাছে মাত্র ৫০০ রিঙ্গিত ছিল, যা তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি করে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো ১৩১ জনের মধ্যে ৯৬ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ৩০ জন পাকিস্তানি পুরুষ এবং ৫ জন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক রয়েছেন।
বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশন এজেন্সি এক বিবৃতিতে বলেছে, “৯৬ জন বাংলাদেশি পুরুষ, ৩০ জন পাকিস্তানি পুরুষ এবং পাঁচজন ইন্দোনেশীয় নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে নির্ধারিত শর্ত পূরণে ঘাটতি পাওয়া গেছে। শর্ত পূরণ না হওয়া বলতে ‘সন্দেহজনক’ হোটেল বুকিং, ইমিগ্রেশন কাউন্টারে হাজির না হওয়া এবং পর্যাপ্ত অর্থ সঙ্গে না রাখার মত কারণ দেখানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা সাধারণত ভ্রমণকারীর প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি করে। কেউ যদি বলে যে সে এক মাস থাকবে, কিন্তু সঙ্গে মাত্র ৫০০ রিঙ্গিত আনে, তাহলে তার বক্তব্যে সন্দেহ তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক। মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য যেসব শর্ত রয়েছে, সেগুলো পূরণ করেই যেন আগ্রহীরা ভ্রমণের প্রস্তুতি নেয়, সে বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে বিবৃতিতে।
বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রটেকশন এজেন্সি বলছে, মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক যে কোনো ব্যক্তিকে অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা, আর্থিক সামর্থ্য এবং থাকা-খাওয়ার নির্ভরযোগ্য পরিকল্পনার প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। দেশটির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এখন কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং বিমানবন্দরে উচ্চ মাত্রার নজরদারি চলছে।
Comments