Image description

আগেই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে থেমে গেছেন টেস্টেও। এবার ওয়ানডে থেকেও নিজেকে দূরে সরিয়ে নিলেন সাকিব। জাতীয় দলের জার্সিকে ‘বিশ্রামে' পাঠিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

এখনো যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে মিরপুর টেস্ট খেলতে না পারার পর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেমে যাওয়ার। আপাতত যদিও তা অনিশ্চিত, তবে সহসাই যে সাকিবের জাতীয় দলে ফেরা হচ্ছে না তা নিশ্চিত।

অন্তত আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে সাকিব আল হাসান থাকছেন না। আগে থেকেই জল্পনা কল্পনা ছড়ালেও এবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সভাপতি ফারুক আহমেদ এই তথ্য জানান। এই মুহূর্তে চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।

অধিনায়ক ইস্যুতে নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে কথা আলোচনা করতেই বন্দরনগরীতে আসা তার। সেখানেই গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সাকিব এই সিরিজটা মিস করবে।’

ভারত সফরে কানপুর টেস্টের আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন সাকিব। ক্রিকেটের দুই সংস্করণ ছাড়লেও ওয়ানডে থেকে নিজেকে সরিয়ে নেননি তিনি। জানান খেলতে চান চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত।

তবে সাম্প্রতিক অবস্থা বিবেচনায় আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সাকিব।

এই প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, ‘আমার মনে হয় তার কিছু সময় দরকার। এটার ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়ে যায়নি। কিন্তু মনে হচ্ছে আগামী সিরিজে তার খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি বলছি না সে খেলবে না। কিন্তু আমার মনে হয় তার খেলা হবে না। এটা পুরোপুরি তার মানসিক অবস্থা, এর মধ্যে একটা টি-টেন টুর্নামেন্ট আছে, হয়তো আমরা এখনো পারমিশন দেইনি। আমি এখনো অনুভব করি সাকিব বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারে অন্তত ৫০ ওভারের খেলায়।’

ফারুকের মতে, মিরপুরে প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে সাকিবকে রাখাও হয়েছিল। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হওয়ায় নিরাপত্তা ইস্যুর কারণে দেশে আসতে পারেননি সাকিব। যে কারণে পরে তাকে স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া হয়। যা সাকিবকে মানসিকভাবে ধাক্কা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এটা খুব স্বাভাবিক, সে মানুষ। যত শক্ত মাথাই থাক না কেন। যেহেতু শেষ টেস্টটা খেলতে পারেনি, সে আপসেট থাকবে।’