
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে এনসিপি নেতা নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেছেন, একটা জেনারালাইজ কমেন্ট করা সেটা স্ল্যাং হতে পারে, কিন্তু সেটা কাউকে এইভাবে অপরাধে অভিযুক্ত করা হলে সেই তুলনায় এটা বীভৎস।
জাহেদ বলেন, বিএনপির সর্বোচ্চ পর্যায়ের খুবই প্রভাবশালী একজন নেতার বিরুদ্ধে এনসিপির খুবই প্রভাবশালী একজন নেতার একটা মন্তব্য নিয়ে শনিবার কক্সবাজারে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমরা জানি এনসিপি তার দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি করছে। তারই অংশ হিসেবে তারা কক্সবাজার গিয়েছিলেন।
সেখানে একটা অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় জনাব নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বিএনপির জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদকে ইঙ্গিত করে সরাসরি তার নাম নিয়েছেন তা নয়। কিন্তু এত স্পষ্ট ক্লু দিয়েছেন, তাতে এটা যে জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদ তা নিয়ে আর কোনো কনফিউশন থাকে না। তাকে কটাক্ষ করেছেন, কটাক্ষ করে কথা বলেছেন বলেই অনেক বিতর্ক শুরু। ইনফ্যাক্ট এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা সেই মঞ্চ ভাঙচুর করে।
এবং রীতিমতো জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদকে ব্যবস্থা করতে হয়েছে, যাতে এনসিপির নেতারা সহজে নিরাপদে কক্সবাজার পার হয়ে যেতে পারেন। কী বলেছিলেন জনাব নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী এবং এটাকে আমরা ঠিক কিভাবে দেখব বা এনসিপি এক ধরনের কনফ্রন্টেশনের রাজনীতিতে ঢুকে পড়ছে ক্রমাগত। এটা কেন?
তিনি আরো বলেন, নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলছেন, 'আগে আওয়ামী লীগের আমলে নারায়ণগঞ্জে বিখ্যাত গডফাদার শামীম ওসমান ছিল। এখন শুনছি কক্সবাজারের নব্য গডফাদার শিলং থেকে এসেছে।
এই যে শিলং থেকে এসেছে। ইটস সো ক্লিয়ার জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি তারপর বলছেন, ঘের দখল করছে, মানুষের জায়গা-জমি দখল করছে, চাঁদাবাজি করছে- তার নাম না বললাম। আবার নাকি সে সংস্কার বোঝে না। খুবই ইম্পর্টেন্ট একটা ব্যাপার।
বিএনপির কিছু নেতা সাম্প্রতিক সময় এনসিপি সম্পর্কে ও এনসিপির নেতাদের সম্পর্কে খুবই বাজে মন্তব্য করেছেন এবং এর মধ্যে স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বার আছে বা খুবই পুরনো পোড় খাওয়া নেতা আছেন, কেউ কেউ এটার সঙ্গে প্যারালাল টেনে বলছেন- বিএনপি পারবে এনসিপি পারবে না? উত্তর হচ্ছে না। দুটো একেবারেই কম্পেয়ারেবল না। একেবারেই কম্পেয়ারেবল না। এনসিপির বিশেষ ফ্লোতে ভেসে যাওয়া বলে যা বলা হয়েছে, কোনো রকম কোনো নেতার বিরুদ্ধে স্পেসিফিক ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ করা হয়নি। জনাব নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে ভয়ংকর কথাগুলো ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ করেছেন।
এগুলো যদি সত্য হয়- তার মানে, একটা জেনারালাইজ কমেন্ট করা, সেটা স্ল্যাং হতে পারে; কিন্তু সেটা কাউকে এভাবে অপরাধে অভিযুক্ত করা হলে সেই তুলনায় এটা বীভৎস। আমরা তো এ প্রশ্ন করতেই পারি, এনসিপি তাহলে কেন ভুক্তভোগীদের দিয়ে এখানে মামলা করানোর ব্যবস্থা করছে না। অথবা ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ তো বাদী হয়ে মামলা করতে পারে এই সরকার তো তাদেরই, তারা সেই ব্যবস্থা করছেন না কেন। বা তারা প্রকাশ করুন কোথায় জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদ চাঁদাবাজি করেছেন, ঘের দখল করেছেন, কী করেছেন প্রমাণ করতে হবে- এ ধরনের অভিযোগ কিন্তু ভয়ংকর।
এটাও সত্য, এই অভিযোগের পর সবচেয়ে ভালো হতো, উচিত হতো বিএনপি টলারেন্স দেখালে, বিএনপির নেতাকর্মীরা যতই ভালোবাসার ভালোবাসায় আঘাত পেয়েছেন, তাই এসব করেছেন। এগুলো আমরা আসলে বর্তমান গণতান্ত্রিক প্রেক্ষাপটে, ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক প্রেক্ষাপটে গ্রহণ করি না। কোনোভাবেই গ্রহণ করি না। বিএনপি এই কাজটা না করা উচিত হবে। ভবিষ্যতেও বিএনপির উচিত হবে তাদের এই নেতাকর্মীদের সামলানো। খুবই অন্যায় গর্হিত কথা হয়েছে, কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এটা না করলে বিএনপি বড় দল হিসেবে আরো বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারত, দেওয়া উচিত হবে।
এটা নিয়ে আমরা যেন ক্রমাগত কথা বলি। আমি বিশ্বাস করি, জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদ তার এলাকার নেতাকর্মীদের এসব ব্যাপারে সতর্ক করবেন। শুধু তিনি নন, বিভিন্ন জায়গায় একই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে । বিএনপির সব নেতার উচিত হবে এ ধরনের বার্তা তাদের এ ধরনের পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া, যাতে তারা এ রকম কিছু না করে।
এখন আসলে মূল আলোচনাটায় যেতে চাই, এনসিপি কেন এমন করছে বা নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীকে কি সিলেক্ট করেছে। বা কেউ এই প্রশ্ন করতে পারে এটা কি নাসির উদ্দিন পাটোয়ারির ব্যক্তিগত মতামত নাকি এনসিপির মতামত? জনাব পাটোয়ারী রিসেন্ট সময়ে নানা রকম বিতর্কিত মন্তব্য করছেন।
আমাদের মনে হয় অন্তত দুটো মন্তব্য 'বিএনপি ৫০ থেকে ১০০ সিট পাবে। এটা হলো ৪০০ সিট। মানে ওরা ধরেই নিয়েছেন সংস্কার হয়ে ৪০০ সিট হবে। আর এনসিপি ৩০০ এর মতো সিট পাবে বলে তিনি মনে করেন। এইসব বলে প্রচুর ডিবেটে এসেছেন ঠিক আছে। আমরা এভাবে দেখতেই পারি। কিন্তু জনাব পাটোয়ারি যেহেতু আগে বলছেন, এখন আবার বলেছেন তার মানেটা হলো এই আমরা ধরে নিতে পারি এগুলো এনসিপি তাকে অ্যাসাইন করেছে এভাবে বলার জন্য। এটা এনসিপি চায়।
মাত্র কয়েক দিন আগেই গোপালগঞ্জে একটা কনফ্রন্টেশনাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমি মনে করি এক ধরনের উসকানির কথা আমরা বলছি। মার্চ টু গোপালগঞ্জ অবশ্যই মনে হতে পারে, পদযাত্রা কেন মার্চ হয়ে যাবে। কিন্তু এটা না হলেও সমস্যা হতে পারত। কিন্তু ওখানে একটা কনফ্রন্টেশন এবং সেটার রিঅ্যাকশনে তারা আবার নানা কিছু বলছে এটা তাদের রাজনীতিতে সাহায্য করছে। তাদের প্রাসঙ্গিক করে রাখছে। রাজনীতিতে রিলেভেন্স ইজ ভেরি ইম্পরটেন্ট। ঠিক একইভাবে এখন কক্সবাজারে এ ঘটনা ঘটার পর তারা আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলেন। তাদের নিয়ে কথাবার্তা বলছি। নেগেটিভভাবে কথা বলেও যদি কেউ বলে থাকেন, সেটাও তাকে নিয়ে আলোচনাই হয়। এটাই নিয়ম।
শনিবার তিনটা টক শোতে পার্টিসিপেট করেছি এবং তিনটাতে এনসিপি অবধারিতভাবে আলোচনায় এসেছে, তাদেরকে নিয়ে কথা হয়েছে আর এনসিপি অন্তত দেখাতে পারছে, তারা আওয়ামী লীগের মার খায়। তারা বিএনপির মার খায় এবং তারা বিএনপি এবং আওয়ামী লীগকে একই রকম কিছু সেই হিসেবে তারা দেখানোর চেষ্টা করতে পারে। এই ঘটনাগুলোর প্রেক্ষাপটে কিন্তু আমরা খেয়াল করছি যে এই দেখানোর মাধ্যমে আসলে তাদের কতটুকু বেনিফিট হবে। জনাব সালাহউদ্দিন সম্পর্কে তাদের কিছুটা ক্ষোভ আছে আমি ধারণা করি। কারণ উনি সংস্কার বোঝেন না, এটাও ইঙ্গিত করেছেন জনাব পাটোয়ারী। জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির হয়ে ঐকমত্য কমিশনে পার্টিসিপেট করছেন এবং খুবই এনগেজিং ওয়েতে করছেন। প্রতিদিন প্রতিটা সেশনে যান পুরো সময় থাকেন প্রচুর হোমওয়ার্ক করে যান বলে আমি এই কমিশনের সূত্র থেকেই শুনেছি।
যারা পার্টিসিপেট করেন ফলে তিনি তার জায়গা থেকে তার দলের যে চিন্তা সেগুলো উনি ওখানে এক্সপোজ করেন। এগুলো ডিফেন্ড করেন এবং বলা বাহুল্য অনেকগুলো এনসিপির চিন্তার সাথে তাদের এলাইনমেন্ট নেই। বিশেষ করে আপার হাউস প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন হবে কি না, ন্যাশনাল কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিল হবে কি না, পরে সেটা কমিটি করা হচ্ছে, এগুলো করবে কি না? এটা নিয়ে সিরিয়াস ধরনের ডিবেট আছে।
সেই ক্ষোভটাই বোধ করে এখানে উগরে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে এই ধরনের বীভৎস অভিযোগ করে। তার মানে আমরা যে কথাটা বলতে চাইছি এনসিপি এখন বিএনপির বিরুদ্ধে খুবই স্পেসিফিক অভিনয় অভিযোগ করছে। এখন এনসিপির আরেকটা জিনিস আমরা একটু যোগ করব। মানে যে জায়গাগুলো একসময় তারা ধরতেন না।
জনাব তারেক রহমান সম্পর্কে একই ধরনের মতো শিলং- মানে জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে আরেকজন নেত্রী একই রকম কথা বলেছেন, উনি শিলং পালিয়ে গেছেন। জনাব তারেক রহমান সম্পর্কে লন্ডনকে ইন্ডিকেট করে কথা বলা হয়েছে যে কেউ ভারতে পালায় আর কেউ লন্ডনে থাকে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এই ধরনের মন্তব্য জনাব তারেক রহমানকে ইন্ডিকেট করেছেন। মানে জনাব তারেক রহমান আক্রমণের জায়গায় গেছেন।
শুধু সেটা না বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি এক ধরনের আপা শ্রদ্ধা দেখানো এনসিপি বেগম খালেদা জিয়াকে খোঁচা দিয়েছেন জনাব নাহিদ ইসলাম। আমি এনসিপির জাতকে সবচেয়ে শান্ত, ধৈর্যশীল এবং গভীর ইমোশনের মানুষ মনে করি, যিনি অন্তত উটকো কথা ফাটকা কথা বলে ফেলেন না এ রকম। জনাব নাহিদ ইসলাম বলছেন, আমরা গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে দিতে আসিনি, স্পষ্টভাবে বেগম জিয়াকে ইন্ডিকেট করেছেন- আমাদের মনে আছে । নিশ্চয়ই তার বাড়ির বাড়ির সামনে বালির ট্রাক রাখাকে কেন্দ্র করে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে এ ধরনের একটা মন্তব্য করেছিলেন।
আমরা এই নারীকে খুব হাতে গোনা দু-একবার মেজাজ ঝাড়তে দেখেছি। সেটা সে রকম একটা সিচুয়েশন এবং জনাব নাহিদ ইসলামের মতো মানুষ সেটাকেও খোঁচা দিচ্ছেন। বেগম খালেদা জিয়া একজন অসুস্থ মানুষ। অত্যন্ত সিনিয়র সিটিজেন। কিন্তু না, তাকেও ছাড়া হচ্ছে না। তার মানে আমরা এভাবে বলতে পারছি- এনসিপি আসলে বিএনপির সাথে একটা সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে যাচ্ছে। কেন?
ওই যে বললাম, প্রথমে একটা হলো প্রচুর আলোচনা এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনা মানে তাদের তো খুবই তরুণ, তারা তাদের জেনারেশনটা সোশ্যাল মিডিয়ার ইন্টার্যাকশনের মাধ্যমে বেড়ে উঠেছেন। সুতরাং তারা প্রচুর ইন্টারেকশন প্রচুর রিঅ্যাকশন না পেলে সম্ভবত তাদের ভালো লাগে না। তারা সেটা করেন এবং তারা মনে করছেন, এই কনফ্রন্টেশনের মাধ্যমে তারা যদি হামলার শিকার হন, সেটা তাদের প্রতি সিম্প্যাথি তৈরি করবে। শুধু আলোচনা না, সিম্প্যাথিও তৈরি করবে।
আর আরেকটা ব্যাপার আমার একটু বলা দরকার বলে মনে হয় তারা নির্বাচন পেছাতে চান শুধু সেটাই না তারা সম্প্রতি এই যে বিএনপির সাথে কনফ্রন্টেশন করে চাপ তৈরি করতে চাইছেন যাতে তারা বিএনপির কাছ থেকে ইলেকশনে কোন লেভেজ পান তাদের সিটের এক্সপেক্টেশন আছে তারা কিছু আলোচনা করেছেন সিট নিয়ে এই ধরনের একটা আলাপ নিয়ে আমি একটা ভিডিও করেছিলাম এবি পার্টির জনাব মুজিবুর রহমান মঞ্জু এই ধরনের একটা কথা বলেছিলেন তিনি মানে খুব কনফিডেন্টলি বলেছেন তা না।
তিনি জেনেছেন, শুনেছেন এভাবেই বলেছেন। কিন্তু এরকম ফিসফাস আমরা শুনি। আসলে এনসিপি এটা চাইতেই পারে। তারা কোন না কোন জোটেতো হয়তো যাবে। সেটা কি বিএনপির সাথে যাবে নাকি জামায়াতের সাথে যাবে। এই আলাপগুলো আছে। সুতরাং বিএনপির উপরে যদি চাপ তৈরি করা যায়। তাদের সিটের আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর সুবিধা হতে পারে। সুতরাং এই যে তীব্র চাপ তৈরি এটাকে এমন না যেটা চিরস্থায়ী কোন শত্রুতার বিষয়।
সেটা নাও হতে পারে। এটা এই কারণে হতে পারে। হোয়াট এভার আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি রাজনীতিতে কতগুলো রেডলাইন আছে। এটা একটা রেডলাইন ছিল। এই রেডলাইনগুলো আমরা ক্রস না করা ভালো। আমরা সমালোচনা করব। বিতর্ক করব। আমি এটা বলি যে বিএনপির সাংঘ সংগঠন হিসেবে কতগুলো অপরাধ বেশ কিছু মানুষজন করছে। স্পেসিফিকলি এ রকম কেউকে না বলেও যদি প্রমাণ না থাকে। সেগুলো নিয়ে তারা রাজনীতি করবেন। তারা বিএনপি খারাপ। তুমি বিএনপির কাছে যেয়ো না। তুমি আমার কাছে আসো। এটা বলবেন কিন্তু একটা ব্যক্তিকে নিয়ে এই ধরনের অভিযোগ ফৌজদারি অপরাধ। অভিযোগ এইভাবে করা এটা বিভৎস। আরেকটা কথা একটু যোগ করে রাখা জরুরি হবে। এই যে শিলং থেকে শিলং চলে গেছেন শিলং পালিয়ে গেছেন শিলং থেকে এসে শিলং অবস্থান করা নিয়ে সোকল্ড খুবই ভেরি ইনফ্লুয়েনশিয়াল এজ ওয়েল কিন্তু মানে সংখ্যার দিক থেকে আমি জানিনা।
কতটুকু ইমপ্যাক্ট তারা রাখেন কিছু ইনফ্লুয়েন্সার আছেন তারা তার এই ঘুম হওয়ার নিয়ে কটাক্ষ করে এবং এনসিপিও এই কটাক্ষ করছে। আমি প্রায় বলেছি যে সেই গ্রুপটার সাথে সে তাদের সাথে এনসিপির এলাইনমেন্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা দেখি। একটা মানুষ বরবরতম একটা অপরাধের শিকার হয়েছেন। সেই মানুষটাকে নিয়েও তাচ্ছিল্য বিদ্রুপ করা হয়। অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচায়ক।
হতেই পারে তার সংস্কার নিয়ে আলোচনা তাদের পছন্দ হচ্ছে না। তাদের চিন্তা ভিন্ন হতেই পারে। কিন্তু তার জন্য এই জিনিসগুলোকে কটাক্ষের পর্যায়ে নামা এনসিপির মতো দলের কাছ থেকে আমরা এক্সপেক্ট করি না। মুখে অন্তত তারা নতুন বন্দোবস্তের কথা বলেন। এটা তাদের মাথায় রাখতে হবে।
Comments