Image description

গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আছড়ে পড়ে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। স্কুল ভবনে বিমান পড়ার দুর্ঘটনা সবার প্রথম চোখে পড়ে ট্রাফিক সহায়তায় নিয়োজিত ছাত্র নাজমুল সাকিবের।

নাজমুল জানায়, ‍“আমি দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই, কিন্তু ২০০ গজ দূরে থাকা ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজে আসতে এক ঘণ্টা দেরি করে। ততক্ষণে সেনাবাহিনী এবং আমরা উদ্ধার শুরু করি। উদ্ধার শুরু করতে গিয়ে দেখি ক্লাস থ্রির রুমে সবগুলো বাচ্চা পুড়ে ছাই হয়ে আছে, পোড়া গন্ধের টিকতে পারছিলাম না। পাশের রুমে ক্লাস ফোর ও ফাইভের জীবিত শিশু ছাত্ররা বলছে ‘ভাইয়া, আমাদের ধরো না, আমরা মারা যাচ্ছি।’ তখন দেখি তাদের শরীর থেকে মাংস খুলে খুলে পড়ছে। হাত দিয়ে একজন মানুষ ধরবো না মাংস ধরবো-বুঝে উঠতে পারছিলাম না।”

সরেজমিনে দেখা যায়, মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিশু ছাত্রী উম্মে মারিয়াম আফিয়ার মা তানিয়া হতভম্ব চোখে নিজ সন্তানের লাশ খুঁজছেন। ৮ বছরের শিশু আফিয়ার ফুফু নাসিমা বলছেন, “আফিয়া বেঁচে নাই? আপনারা তার দেহের একটা অংশ হলেও দেন, আমরা বাড়ি নিয়ে যাব।”

এমন দুঃসহ ঘটনা বাংলাদেশ এর আগে প্রত্যক্ষ করেনি, যেখানে আধো-আধো কথা বলা শিশুগুলোর শরীরের অবশিষ্ট অংশগুলো পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না।