Image description

কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সমুদ্রসৈকতে নির্মিত জেটি উচ্ছেদ করতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রাণালয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ আট কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

দুই সচিব ছাড়াও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও নেভাল ইউনিট (ফরওয়ার্ড বেস) কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও এ চিঠি দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই চিঠি পাঠান বেলার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস হাসানুল বান্না।

চিঠিতে বলা হয়, সরকার ১৯৯৯ সালে এই কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্রসৈকতের ১০ হাজার ৪৬৫ হেক্টর এলাকার প্রাণবৈচিত্র্য, নির্মল জলরাশি এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার জন্য প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করে। ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর সিভিল রিভিউ পিটিশন রায়ে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ করেন আপিল বিভাগ।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০২০ সালে সমুদ্রসৈকত দ্বিখণ্ডিত করে ইনানী সৈকতে আদালতের আদেশ ও আইনি বিধান লঙ্ঘন করে এই জেটি নির্মাণ করা হয়। জেটি নির্মাণ করতে গিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।

অস্থায়ীভাবে নির্মিত জেটিটি অপসারণের কথা থাকলেও তা অপসারণ করা হয়নি। ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র আঘাতে জেটিটির একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। এর আগে গত ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেটিটি উচ্ছেদ এবং জেটি দিয়ে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পাঠিয়েছে।