Image description

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ওপরও ভিসা নীতি প্রয়োগ হতে পারে-এমন মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হলে তিনি এ ব্যাখ্যা দেন। এছাড়াও পিটার হাসের এমন বক্তব্যে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সম্পাদক পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২৪ সেপ্টেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের এক সাক্ষাৎকারে ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন- রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সাবেক-বর্তমান সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি গণমাধ্যমও আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করে এবং ২২ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করে যে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ জানিয়ে সম্পাদক পরিষদ সভাপতি মাহফুজ আনাম ২৭ সেপ্টেম্বর ই-মেইলে একটি চিঠি পাঠান পিটার হাসকে।

চিঠিতে বলা হয়, মার্কিন সরকার এবং রাষ্ট্রদূত ব্যক্তিগতভাবে সবসময় মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের অটল প্রবক্তা। কিন্তু গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নীতি প্রয়োগের বিষয়টি তার মনে এবং সম্পাদক পরিষদের সদস্যদের মনে কিছু প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। সত্যি বলতে-এই মন্তব্যটি আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। তাই ব্যাখ্যার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

মাহফুজ আনামের এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জানান, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের অধিকার দৃঢ়ভাবে রক্ষা করতে তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, যাতে করে মিডিয়া আউটলেটগুলো তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রয়োগ করতে পারে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, এই দৃষ্টিকোণ যুক্তরাষ্ট্রসহ যেকোনো সরকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। প্রকৃতপক্ষে, আমারা আমাদের নীতিতে যেকোনো উপাদানে জনসাধারণের প্রতিফলনকে স্বাগত জানাই।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে এবং তাদের জন্য মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগ করবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য।

মানবকণ্ঠ/এআই