Image description

বিদেশী পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত শুল্ক বন্ধ করতে একজোট হয়ে মামলা করেছে দেশটির ১২টি অঙ্গরাজ্য। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল ও অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস। খবর বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতে এই মামলা করা হয়। মামলায় বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই শুল্ক আরোপ করেছেন। ফলে এটি আইনত অবৈধ। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের শুল্ক আরোপ করার অধিকার তার নেই।

এ নিয়ে ট্রাম্পের ট্যারিফ আরোপের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এ আইনি চ্যালেঞ্জের ফলে মার্কিন বাণিজ্যনীতিতে আসতে পারে বড় পরিবর্তন।

এদিকে হোয়াইট হাউজ থেকে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ মামলা করেছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কুশ দেশাই বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসন এবং সীমান্ত পেরিয়ে ফেন্টানাইল প্রবাহ ও মার্কিন পণ্য বাণিজ্য ঘাটতির বিস্ফোরণ মোকাবেলা করার জন্য প্রশাসন তার পূর্ণ আইনি কর্তৃত্ব ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

চীন, মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যের ওপর সম্প্রতি অন্য দেশের তুলনায় উচ্চ হারে ট্যারিফ আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে সত্তরের দশকে প্রবর্তিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার্স অ্যাক্ট’ ব্যবহার করছেন ট্রাম্প। মামলার দাবি, এ আইনে এমন কিছু বলা নেই যা প্রেসিডেন্টকে এককভাবে শুল্ক আরোপের অধিকার দেয়। আইনটির ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মার্কিন অর্থনীতি ও সংবিধানের ভারসাম্য নষ্ট করেছেন প্রেসিডেন্ট।

এদিকে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য শুল্ক আরোপ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে। এ মামলার মূল কথাও একই, ‘ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার্স অ্যাক্ট’ অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের এ ক্ষমতা নেই।

প্রসঙ্গত, ২ এপ্রিল বিশাল ধাক্কা লাগে বিশ্ব বাণিজ্যে। সেদিন ট্রাম্প ‘লিবারেশন ডে’ ঘোষণা দিয়ে বেশির ভাগ দেশের জন্য উচ্চ হারে ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ আরোপ করেন। অবশ্য চাপের মুখে পরে ৯০ দিনের জন্য অনেক দেশের পণ্য থেকে শুল্ক কমিয়ে দেন এবং সর্বজনীন শুল্ক হার ১০ শতাংশে বহাল রাখেন।