Image description

জননন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান সম্প্রতি কলকাতার এক পডকাস্টে তার অনেক না বলা কথা জানিয়েছেন। এক পর্যায় উপস্থাপক তাকে জিজ্ঞেস করেন, এমন কোন কাজ আছে, যার জন্য এখনো অনুশোচনা হয়?

জয়ার এক মুহূর্তও ভাবতে হয় না। তিনি জানান, ‘না, আমার কোনো অনুশোচনা নেই। কারণ আমি যা যা করে এসেছি তার ফলশ্রুতিতেই আজকের জয়া আহসান তৈরি হয়েছে।’ এররপই একটু ভেবে বলেন, ‘পড়াশুনাটা ঠিকমতো করলে...’

ফের মত বদলে বলেন, ‘না, ঠিকই আছে, অনেক পড়াশুনা করলেও কী-ই বা করতাম! কম পড়াশুনা করেছি তা নয়, আমিও পড়াশুনা করেছি। কিন্তু আমার বোনের মতো ক্লাসে কখনো ফার্স্ট সেকেন্ড থার্ড হতাম না। ওঁ কিন্তু এখন ঘর সংসার সামলাচ্ছে, আর তাতে ওঁ অনেক খুশি। আর আমি যেটা করছি তাতে আমিও খুশি।’

ছোটবেলার স্মৃতি হাতড়ে জয়া বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি একটু আলাদা ছিলাম। সবাই যখন একসঙ্গে খেলাধুলা করতো আমি তখন সেই ভিড় থেকে সরে হয়তো কোন একটা কিছুর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। মানে ভাবুক প্রকৃতিটা আমার মধ্যে ছোটবেলা থেকেই আছে। একটু কিছুতেই অবাক হতাম, কিন্তু আর কোনকিছুতেই অবাক হই না। যেন অবাক হওয়ার ক্ষমতা, বিস্মিত হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। যার ফলে অভিনয়ে ইনোসেন্সটা কিন্তু আগের মতো থাকে না অনেক সময়।

অথচ আমার মাকে এখনো দেখি, একটা ভালো বা নতুন কিছু দেখলে অবাক হয়ে যান। সুন্দর একটি ঘাসফুল দেখলে আমাকে ছবি তুলে তখনই পাঠান, আমার আবার তখনই শুটিং ফেলে সেটা দেখে জানাতে হয় কেমন লাগলো ফুলটা! এইসব চলতে থাকে আমাদের মধ্যে। এভাবেই আমি নিজের মধ্যে ইনোসেন্স ব্যাপারটা বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করি।’

জয়া আরও বলেন, ‘আমি সুযোগ পেলেই মাটির কাছাকাছি চলে যাই। মাটি চটকাতে আমার খুব ভালোলাগে। ঢাকায় আমি নিজের বাড়িতেই নিয়মিত কৃষিকাজ করি। বেগুণী মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়া থেকে শুরু করে ভাতের চাল বাদে সবকিছু ফলিয়েছি। বলতে পারেন এখন আমি অভিনেত্রী পরে, কৃষক আগে। আস্তে আস্তে অভিনয়ে আরও সিলেক্টিভ হতে চাই। বছরে একটি কি দুটি কাজ করতে চাই। বাকীটা সময়ে মাটি, গাছপালা, পশুপাখি, ফুল-ফল নিয়েই থাকতে চাই।’