Image description

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ছুরিকাঘাতে মো. আরিফ হোসেন (৩৩) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার কীর্তুনিয়া গ্রামের ইউসুফ আলী ভূঁইয়া উচ্চবিদ্যালয়ের কাছের একটি মনোহারি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আরিফ হোসেন কীর্তুনিয়া গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে। তিনি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া উচ্চবিদ্যালয়ে দপ্তরি (চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী) হিসেবে দেড় বছর ধরে কর্মরত।‌ অভিযুক্ত মো. আসাদুল্লাহ (৪০) একই গ্রামের মো. ফাইজ উদ্দীনের ছেলে। তাঁকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দোকানি মো. হিরণ বলেন, আরিফ তাঁর দোকানের সামনে এসে তাঁকে সালাম দেন। সালাম শেষ হওয়ার আগেই হঠাৎ ঢলে পড়েন আরিফ। এরপর দেখতে পান পেছনে রক্তাক্ত ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন আসাদুল্লাহ। আশপাশের লোকজন তাঁকে ধাওয়া দিয়ে আটকে ফেলেন। পরে পুলিশকে খবর জানানো হয়। কাপাসিয়া থানার পুলিশ এসে আটক আসাদুল্লাহকে নিয়ে যায়। দোকানের সামনে তাঁদের দুজনের মধ্যে কোনো ঝগড়া হয়নি। হঠাৎ ছুরি দিয়ে আঘাত করেন আসাদুল্লাহ। 

ইউসুফ আলী ভূঁইয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, দপ্তরি আরিফ হোসেন কোনো কাজে স্কুলের বাইরে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পরই খবর আসে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল, তবে হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, নিজেদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে আরিফ হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।