Image description

নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় কুরআন মাজীদ ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আরও একজন আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৬ জুলাই) বারহাট্টা মধ্য বাজার এলাকা থেকে এই মামলার প্রধান আসামি আবু বক্কর (৫৫)-কে আটক করা হয়। এই নিয়ে মামলায় মোট দুজন আসামিকে গ্রেফতার করা হলো। তবে, মামলার বাকি দুই আসামি চন্দ্রপুর গ্রামের বেগমা আক্তার এবং জয় কৃষ্ণ নগর গ্রামের হাবিবুর রহমান এখনও পলাতক রয়েছেন।

আটককৃত আবু বক্কর সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বাসিন্দা। এর আগে গত ১৩ জুলাই রাতে নাজমা আক্তার নামে এক নারীকে গ্রেফতার করে ১৪ জুলাই জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

জানা যায়, পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারায় গত বুধবার তৌহিদি জনতার ব্যানারে চন্দ্রপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলের এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ জনতা পলাতক আসামি হাবিবুর, নাজমা (যিনি ইতিমধ্যেই আটক) এবং বেগমার বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় হাবিবুরের মাছের আড়তের ঘরটিও ভেঙে ফেলা হয়।

সিংধা ইউনিয়ন হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা আরমান বাক্কি এই ভাঙচুরের ঘটনা স্বীকার করেছেন, তবে দাবি করেছেন যে হামলাকারীরা সাধারণ মুসল্লি এবং তাদের তিনি চেনেন না।

বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান জানিয়েছেন, তারা প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছেন। তিনি আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনাকে "ন্যাক্কারজনক" আখ্যা দিয়ে বলেন, পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করা হয়। ঘটনাস্থল তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী পরিদর্শন করেছে।

ভাঙচুরের ঘটনায় ১৭ জুলাই হাবিবুর রহমানের ছোট ভাই শফিকুল নেত্রকোনা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। নাজমা আক্তারের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও নেত্রকোনা আদালতে মামলা করতে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

ওসি কামরুল হাসান আরও জানান, ভুক্তভোগী দুই পরিবার এখনও থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।