Image description

লালমনিরহাটের তিনটি সীমান্ত পয়েন্টে পুশইনের শিকার হয়ে একই পরিবারের সাত জনকে আটক করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার(১২ জুন) সকালে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে থেকে তাদের আটক করা হয়। এছাড়া হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামে শূন্যরেখায় অপেক্ষমাণ রয়েছেন আরও ১২জন।

আটককৃতরা হলেন, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার বড়ভিটা ধ্বনিরাম এলাকার মৃত বাহাল্লা মিয়ার ছেলে ওবায়দুর রহমান(৪৫), তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম(৪০), তার ছেলে মাহাবুল(১৫), মজিবর(১৩), মেয়ে জান্নাতি(৯), জাহানারা বেগম(৭) ও আসমি(৭ মাস)।

সীমান্তবাসী ও বিজিবি জানায়, আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী সীমান্তের ৯২৬/৩ এস পিলার এলাকায় সকালে সাতজন বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক পুশইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পুশইনের শিকার নারী শিশু নিজেদের বাংলাদেশি দাবি করে পরিচয় প্রদান করায় তাদেরকে আটক করে বিজিবি। পরে তাদের পরিচয় যাচাই বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আটককৃতদের আদিতমারী থানায় সোপর্দ করে বিজিবি।

অপরদিকে পাটগ্রামের ঝালঙ্গি সীমান্তে সাতজন ও হাতীবান্ধার বড়খাতা দোলাপাড়া সীমান্তে পাঁচজনকে পুশইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। এ সময় এলাকাবাসী ও বিজিবি'র প্রতিরোধে পিছুহটে তারা। আর এসব মানুষ ওই দুই সীমান্ত পয়েন্টের শূন্যরেখায় অবস্থান করছে। তাদের পুশইন রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে এলাকাবাসী ও বিজিবি।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, দুর্গাপুর সীমান্তে সাতজনকে পুশইন করেছে। তারা বাংলাদেশি এবং গত ৩ বছর আগে দালালের মাধ্যমে গিয়েছিল ফিরছেনও দালালের মাধ্যমে। তারা বাংলাদেশি পরিচয় দেয়ায় তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ যাচাই বাছাই করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিবে।