রাউজানে পৌর যুবদল যুগ্ম আহবায়ক মো. ফয়েজের দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ডিশ ব্যবসায়ীর বসতঘরের সামনে গোলাগুলি করার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (২৪ মে) রাতে রাউজান পৌরসভার ০১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গহিরা গ্রামের আবদুস সোবাহান দারোগা বাড়ির ডিশ ব্যবসায়ী আবদুল হালিমের বসতঘরের সামনে গোলাগুলি করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তিভোগীরা।

গত ২১ মে যুবদল নেতা মো. ফয়েজকে প্রধান আসামী করে রাশেদ, জসিম, রাশেদ (০২), মো. মহিউদ্দিনকে আসামী করে রাউজান থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন ভুক্তভোগী ডিশ ব্যবসায়ীর স্ত্রী সুমি আকতার। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা করেছিল যুবদল নেতা ফয়েজ। চাঁদা না দিলে ডিশ ব্যবসায়ী ও তার পরিবারকে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করা হয়। এরপর থেকে একাধিকবার বসত ঘরের সামনে গিয়ে গোলাগুলি করে আতঙ্ক ছড়ানো হয়। সর্বশেষ গত শনিবার রাতে গোলাগুলি করে বলে অভিযোগ করেন ডিশ ব্যবসায়ী আবদুল হালিম। 

আবদুল হালিম তিনি বলেন, আমি ক্ষুদ্র আকারে ডিশ ব্যবসায় করে আসছি গত ১৮ বছর ধরে। আমি বিএনপিকে সমর্থণ করায় বিগত সরকার আমলেও আমার বিরুদ্ধে কয়েকটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। এলাকায় ব্যবসা করতে হলে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে বলেছিল ফয়েজ। আমার কাছ থেকে দু-তিন ধাপে ১০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছিল। চাঁদা দিতে না পারায় এখন আমার ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে আমাকে এবং আমার পবিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। ভয়ে তিনি ঘর থেকে বের হতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন। 

রবি আকতার নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, এখানে এসে গোলাগুলি করে চলে যায়। আমরা রাস্তায় বের হলে ফয়েজসহ বেশ কয়েকজন আমাদের আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন।  

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাউজান পৌরসভা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. ফয়েজ বলেন,  আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন। আবদুল হালিম আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর আলমগীর আলীর সহযোগী সন্ত্রাসী। একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগ হওয়ায় তাঁকে এলাকা থেকে চলে যাওয়ার চাপ দিচ্ছি আমরা।  

এই প্রসঙ্গে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘গোলাগুলির বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। তবে তারা খুব খারাপ লোক। চাঁদার জন্য গোলাগুলি করলেও করতে পারে। আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে আগে চাঁদাবাজির এজাহার পেয়েছিলাম। সেটির তদন্ত চলমান রয়েছে। তাদের থানায় আসার জন্য আজ বলা হয়েছে।’