Image description

নাটোরের বড়াইগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছেলের মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা পর শোকগ্রস্ত হয়ে মারা গেলেন বাবা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুর্ঘটনায় আহত ছেলে বিকাশ কস্তার (৪২) মৃত্যু হয়। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে শোক সইতে না পেরে হার্ট অ্যাটাকে ওইদিন রাত ১১ টায় তার বাবা মন্টু কস্তা (৭৬) মারা যান। 

শুক্রবার ভবানীপুর খ্রিষ্টান কবরস্থানে পাশাপাশি তাদের লাশ দাফন করা হয়। মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে বাবা-ছেলের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে স্বজনসহ গ্রামের মানুষেরা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছেন।

নিহত বাবা ও ছেলে উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা  । 

জোয়াড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর জানান, বিকাশ কস্তা ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ইস্টার সানডে উপলক্ষ্যে তিনি ছুটিতে বাড়িতে আসেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বনপাড়া বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে হারোয়া ইক্ষু ক্রয়কেন্দ্রের সামনে একটি অটো রিকশা সাথে তার মোটর সাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে স্বজনরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান। 

এদিকে, ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বিকাশ কস্তার পিতা মন্টু কস্তা হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। পরে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে রাত ১১ টায় তিনিও মারা যান। শুক্রবার সকালে ভবানীপুর সাধু ফ্রান্সিস জেভিয়ার গীর্জায় একই সাথে দুইজনে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে স্থানীয় খ্রিষ্টান কবরস্থানে পাশাপাশি বাবা-ছেলের লাশ দাফন করা হয়।

ভবানীপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক সেন্টু কস্তা বলেন, তারা দুজন আমার ভাই ও ভাতিজা। যে কোন মৃত্যুই শোকের। কিন্তু একই দিনে দুজনকে হারানোর শোক সহ্য করা কঠিন। বিশেষ করে ভাতিজা বিকাশ কস্তার স্ত্রীসহ তেরো ও ছয় বছর বয়সের দুটি ছেলেমেয়েকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এমন ঘটনায় আমরা সবাই চরম শোকার্ত হয়ে পড়েছি।