মুন্সীগঞ্জে অটোচালক হিমেল মীরকে হত্যার মামলায় তিন আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার  দুপুরে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন উরমী এ রায় প্রদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মুছা সরকার, নজরুল ফরাজি, সবুজ চৌকিদার।

আর হিমেল মীর মুন্সীগঞ্জ সদরের গোসাইবাগ এলাকার সাইজুদ্দিনের ছেলে।

মামলার এজাহার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকা সংলগ্ন মল্লিক রায় দিঘী থেকে অজ্ঞাত হিসেবে হিমেল মীরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক খসরু আহম্মেদ বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় পরের দিন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকালে উদঘাটিত হয়, সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র অটো ছিনতাই করে চালক হিমেল মীরকে হত্যা করে দিঘীতে বস্তাবন্দি মরদেহ ফেলে চলে যায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রায় তিন বছর বিচারকার্য শেষে মামলার তিন আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন আদালত। এ ছাড়া অপর তিন আসামির মামলায় সম্পৃক্ততা না থাকায় তাদের খালাস প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ রায়ে সন্তুষ্ট নিহতের পরিবার। অটো চালক হিমেল হত্যা মামলায় আসামীদের দোষী সাব্যস্ত করে তিন আসামীকে আমৃত্যু কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় দিয়েছে আদালত। তার সাথে অপর আরো ৩ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে আসামী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান সাইদ বলেন, আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে আমরা উচ্চ আদালতে আপীল করবো।

মানবকণ্ঠ/এসআর