Image description

কয়েক দিনের টানা  ভারী বর্ষন  ও উজান থেকে নেমে প্রবল স্রোতে করতোয়া নদীর ভাঙ্গনে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার বড়গলি নাপিতপাড়ার ৫০ থেকে ৬০ পরিবার বিলিনের পথে। ভুক্তভুগি পরিবারের অভিযোগ, 'গত দুই বছর যাবৎ শুধু আশ্বাসের বানী শুনতে শুনতে আজকে করতোয়া নদীর ভূগর্ভে পতিত হয়েছে পড়েছি।'

গত ২/৩ বছরের করতোয়া নদীর ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে প্রায় এক কিলোমিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটছে ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার নাপিত পাড়ার অর্ধশতাধিক পরিবারের ।

ঘোড়াঘাট পৌরসভার অন্তর্গত একটি খুবই অনুন্নত ও অবহেলিত জনবহুল এলাকা নাপিত পাড়া যা করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। র্দীঘদিন যাবৎ করতোয়া নদীতে প্রতিবছর বন্যা হওয়ার কারনে নদীর তীরবর্তী পশ্চিম পার্শ্বের এলাকার সাধারন জনগনের জানমান ও বসতবাড়ি ব্যাপক ভাবে ক্ষতি সাধন হয়ে আসছে।

যার কারনে ইতিমধ্যে প্রায় ৫০-৬০টি পরিবার বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে এবং প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার আগামীতে বিলীন হওয়ার আশংকায় রয়েছে।

স্থানীয় বাশনা দেবি বলেন, 'অবিরাম বর্ষন ও উজানের পানি চলে আসায় করতোয়া নদীর পানি বাড়ছে। ফলে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। প্রতিদিনই আমাদের বসতির কোন  না কোন স্থান ভেঙ্গে নদীতে বিলিন হচ্ছে। যদি করতোয়া নদীর তীরবর্তী পশ্চিম পার্শ্বের এলাকা বরাবর একটি স্থায়ী বাধ নির্মাণ করা যেত তাহলে এই বিরাট জনবসতি বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও আক্রমন হতে রক্ষা পেত।'

একই এলাকার বিপুল চন্দ্র রায় জানায়, 'ইতোমধ্যে এলাকাবাসির নিরাপত্তার সহায়তার জন্য বিভিন্ন দফতরে চিঠি পাঠিয়েছি এখনো কোনো কাজ হয় নাই। শুধু আশ্বাসের বানী শুনতে হয়েছে। কাজের কোন কাজ নেই।'

এ বিষয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুস আলী মণ্ডল বলেন, 'নদী তীরবর্তী অধিকাংশ লোকজন দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে ও ক্ষতিগ্রস্থ এই সমস্ত পরিবার বর্তমানে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে এবং এরই মধ্যে বেশ কিছু পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। জানমাল বাঁচাতে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।'

দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড  নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, 'আমি এই করতোয়া নদীভাঙ্গনের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমি তদন্ত টিম পাঠাবো এবং আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।'

মানবকণ্ঠ/এফআই