গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মাছের ঘের কাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও গোপালগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের বর্ষাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে পলাশ ফকির (৪৫), মেহেদী ফকির (২০), মিরাজ ফকির (৪৫), জালাল ফকির (৩৫), আলামিন ফকির (৩০), রবিউল ফকির (২৫), রিয়াজ ফকির (২২), রফিকুল ফকির (৫৫), সুফিয়ান ফকির(২০), গাউস ফকির (৩৮), মনিরুজ্জামান ফকির (৪৫), আব্বাস আলী ফকির (৩৫), আকাশ ফকির (১৩), নাসির ফকিরসহ (২০) অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আহতদের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষাপাড়া গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকিরের সঙ্গে একই গ্রামের মোকসেদ আলী ফকিরের দীর্ঘদিন ধরে জমিতে মাছের ঘের কাটা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরইসূত্র ধরে আজ শুক্রবার মোকসেদ আলী ফকিরের লোকজন ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকিরের লোকজনকে মারধর করে। এই মারধরের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কোটালীপাড়া উপজেলার বর্ষাপাড়া গ্রামে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির না জানিয়ে কয়েকজনের জমি নিয়ে একটি মাছের ঘের কাটেন। এ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার দুপুরে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম ফকির ও তার লোকজন ওই জমিতে ঘের কাঁটতে গেলে লায়েক ফরিক ও তার লোকজন বাঁধা দেয়।
এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্রে নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত ৭ জনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।




Comments