
শ্রীপুরের ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন শাহজাহান বাদশা (২৮)। অপরিচিত একটি প্রাইভেট কার ঢাকার উদ্দেশে যাত্রী তুলছিল। তিনি সেই প্রাইভেট কারে ওঠেন। এরপর তাঁকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও বিভিন্ন ব্যাংকের বুথ থেকে ৬ লাখ টাকা তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা ও সদর এলাকার মেম্বারবাড়ি এলাকার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। শাহজাহান বাদশা শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের মো. বাবুলের ছেলে।
দুর্বৃত্তরা তাঁকে মহাসড়কের মেম্বারবাড়ি এলাকায় ন্যাশনাল ফিড মিলের সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অন্য এক ব্যক্তির স্মার্টফোনে নিজের ফেসবুক আইডিতে লগইন করে একটি ভিডিওর মাধ্যমে ঘটনার পুরো বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
শাহজাহান বাদশা বলেন, রোববার সকালে ঢাকায় তাঁর একটি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার পর সেই রাতে তাঁর ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল। তাই আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। বাড়ি থেকে বের হয়ে মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসড়কের এক প্রান্তে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় সেখানে একটি প্রাইভেট কার ঢাকার উদ্দেশে যাত্রী তুলছিল। তাঁর সামনে প্রাইভেট কারে আরও কয়েকজন যাত্রী উঠেছে। তাই নিরাপদ যাত্রার জন্য তিনিও ওঠেন।
কয়েক মিনিট পরেই তাঁকে গাড়ির ভেতরে থাকা আরও চারজন জিম্মি করে দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে নগদ অর্থ ও স্মার্টফোন কেড়ে নেয়। এরপর সঙ্গে থাকা চারটি ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড নিয়ে নেয়। জোর করে কার্ডগুলোর পিন নিয়ে আশপাশের এলাকার বিভিন্ন বুথে গিয়ে পর্যায়ক্রমে ৬ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা প্রায় ৫০ হাজার টাকাও কেড়ে নেওয়া হয়। সাত ঘণ্টা ধরে আটকে রেখে একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মেম্বারবাড়ি এলাকায় ন্যাশনাল ফিড মিলের সামনে ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
ভুক্তভোগী এ প্রসঙ্গে বলেন, তিনি শ্রীপুর থানা পুলিশকে ঘটনার বিষয়টি জানিয়ে আবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল বারিক বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। পুরো ঘটনা জয়দেবপুর থানা এলাকায় ঘটেছে। কিন্তু তিনি যেহেতু শ্রীপুর থানা এলাকা থেকে গাড়িতে উঠেছিলেন, তাই আমরা নিজ উদ্যোগে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছি।’
Comments