

পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটির আগেই শ্রমিকদের বোনাস ও জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। তিনি বলেছেন, অন্য বছরের মতো এবারও শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যথাসময়ে বেতন, বোনাস পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারবে। ঈদের আগে জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন মালিকপক্ষ অবশ্যই প্রদান করবেন। ঈদের ছুটির আগে শ্রমিকের ঈদ বোনাসও প্রদান করতে হবে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) রাজধানীর বিজয় নগরের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ঈদুল আযহা উপলক্ষে শ্রমিকদের বেতন বোনাস’ বিষয়ে ত্রিপাক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (আরএমজি, টিসিসি) ১৫তম সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় গার্মেন্টস মালিক, শ্রমিক ও সরকার পক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভা থেকে জানানো হয়েছে, মালিক ও শ্রমিক সমস্যা ও মতপার্থক্য নিরসনে সামাজিক সংলাপ করতে হবে। সকল মালিকের সামর্থ্য এক নয় বিধায় বোনাস দেওয়ার তারিখ নির্ধারিত না করে বরং ঈদের ছুটির আগে প্রদানের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক। ঈদের ছুটি মালিক ও শ্রমিক আলোচনা করে সরকারি ছুটির সাথে সমন্বয় করে প্রদান করতে পারে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, সেক্টরটি বর্তমানে নানা ধরনের সংকটের সম্মুখীন। জ্বালানি ও পরিবহনের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে বিদেশি ক্রেতারা কম মূল্যে উৎপাদিত পণ্য ক্রয়ের প্রস্তাবসহ নানাবিধ শর্তারোপ করছেন। এরূপ পরিস্থিতির মধ্যেও মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে আন্তরিক। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যা স্থানীয় প্রশাসন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর, শিল্প পুলিশ ও শ্রমিক নেতাদের সহায়তায় সমাধান করা হচ্ছে।
এ সময় ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের (আইবিসি) সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রণি বলেন, ঈদের আগে বেতন, বোনাস প্রায় সব মালিকই দিয়ে থাকেন। তবে কিছু কিছু কারখানার মালিক যথাসময়ে দেন না। তাই বেতন, বোনাস একটি নির্দিষ্ট তারিখের আগে পরিশোধের জন্য দিক নির্দেশনা দরকার।
মানবকণ্ঠ/এসআরএস