

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল হতে ২০৩০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম. আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে এতথ্য জানান জানান তিনি।
রবিবার (৪ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মন্ত্রী আরো জানান, জাতীয় বননীতি- ১৯৯৪ অনুযায়ী সরকার প্রধানের অনুমোদন ব্যতীত সংরক্ষিত বন বনায়ন বহির্ভূত কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলে উল্লেখ রয়েছে। বন অধিদপ্তর রক্ষিত এলাকায় স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে সহ-ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বনভূমির ব্যবস্থাপনা ও বনায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
একই প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ মন্ত্রী মন্ত্রী জানান, সুস্থ, সুন্দর ও বাসযোগ্য ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার জন্য যেকোন দেশের আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে দেশে মোট বন বিভাগ নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৩ লক্ষ হেক্টর, যা দেশের আয়তনের শতকরা ১৫ দশমিক ৫৮ ভাগ। তবে বাংলাদেশের বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের আয়তনের শতকরা ২২ দশমিক ৩৭ ভাগ। বন অধিদপ্তর বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী বনভূমিকে রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে মোট রক্ষিত এলাকার পরিমাণ বেড়েছে।
মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন জানান, বনভূমি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার তথা বন অধিদপ্তর গত ১৪ বছরে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০০৯-২০১০ হতে ২০২১-২০২২ আর্থিক সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্প এবং রাজস্থ বাজেটের আওতায় ম্যানগ্রোভসহ সর্বমোট এক লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৩ হেক্টর ব্লক, ২৮ দশমিক ৫১৮ সিডলিং কিলোমিটার স্ট্রীপ বাগান এবং বিক্রয় বিতরণের জন্য উত্তোলিত এক হাজার ৮৬ লক্ষ চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়।
মন্ত্রী আরো বলেন, বন অধিদপ্তর প্রতিবছর জাতীয় পর্যায়ে ঢাকায় মাসব্যাপী এবং সারাদেশে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। বন অধিদপ্তর বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের পাশাপাশি জনগণের মাঝে পরিবেশ, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে যাচ্ছে। বন অধিদপ্তর বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী বনভূমিকে রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে মোট রক্ষিত এলাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করছে। বন অধিদপ্তর সারাদেশের সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে উপকারভোগী হিসেবে সম্পৃক্ত করে সড়ক, রেল, বাঁধের পাশে ও প্রান্তিক ভূমিতে ব্যাপক বনায়নের মাধ্যমে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি করছে।
মানবকণ্ঠ/এসএ