Image description

কর্মস্থল, এয়ারপোর্ট, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন, শপিংমলের মতো জনসমাগমস্থলে এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও ব্যবস্থাপনায় বিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রবিবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানজিলা রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

এর আগে বিগত ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর নিরাপদে মায়ের বুকের দুধ পানের পরিবেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করে ৯ মাস বয়সের ছোট্ট শিশু উমাইর বিন সাদী। সাথে ছিল তার মা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান।

জনস্বার্থে করা এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৭ অক্টোবর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার মো. দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। উক্ত রুলে দেশের সব শপিংমল, কর্মক্ষেত্র, এয়ারপোর্ট, বাসস্টপ, রেলওয়ে স্টেশনে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে জনপরিসরে (পাবলিক প্লেসে) ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে নীতিমালা তৈরি করতে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। মন্ত্রী পরিষদ সচিব, নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, বিমান ও পর্যটন সচিবসহ ১৭ জন বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রাহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ সারা দেশের কলকারখানা ও মিলগুলোতে ২ মাসের মধ্যে ব্রেস্টফিডিং রুম স্থাপনের নির্দেশ দেন।

মানবকণ্ঠ/এফআই