উদ্বোধন হল ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী পাইপলাইন


  • অনলাইন ডেস্ক
  • ১৮ মার্চ ২০২৩, ১৯:১৪

আজ শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোতাম টিপে ভারত-বাংলাদেশের এই মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশে ডিজেল সরবরাহের লক্ষ্যে যৌথভাবে প্রথম আন্তঃসীমান্ত মৈত্রী তেল পাইপলাইন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আজ শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোতাম টিপে ভারত-বাংলাদেশের এই মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম কর্পোরেশন (বিপিসি)-র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) থেকে নেওয়া প্রায় ৩ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি ব্যয়ে নির্মিত ১৩০ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের (আইবিএফপিএল) মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজেল রপ্তানি করবে ভারত।

পাইপলাইনটি বাংলাদেশের ভূখন্ডে ১২৫-কিমি এবং ভারতের অভ্যন্তরে ৫-কিমি প্রসারিত। পাইপলাইনটির হাই-স্পিড ডিজেল (এইচএসডি)-এর বার্ষিক পরিবহনের ক্ষমতা ১ (এক) মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটিপিএ)। এটি প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সাতটি জেলায় হাই স্পিড ডিজেল সরবরাহ করবে। বাংলাদেশ এতদিন ভারত থেকে রেলপথে ডিজেল আমদানি করত।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপো পর্যন্ত পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানির জন্য ২০১৭ সালে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'বিগত বছরগুলোতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। বাংলাদেশের এই উন্নতিতে পাশে থাকতে পেরে আমরা খুশি। এই পাইপলাইন (ডিজেলের) বাংলাদেশের উন্নতিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।'

দুই দেশের মধ্যে কানেকটিভিটি যত বাড়বে তত দুই দেশের লোকজনের মধ্যে সম্পর্ক জোরালো হবে বলেও উল্লেখ করেন মোদি।

কোভিড মহামারির পরও এই প্রজেক্টের কাজ চালিয়ে যাওয়ায় আমরা খুশি উল্লেখ করে মোদি বলেন, 'এই পাইপলাইনের কল্যাণে খরচ কমার পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণও কম হবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় লোকজনের উপকার হবে।'

এ সময় নরেন্দ্র মোদি ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পাইপলাইনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের কথা স্মরণ করেন।

ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন চালু হলে ভারত থেকে বাংলাদেশে এইচএসডি পরিবহনের একটি টেকসই, নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এটি দুই বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশীর মধ্যে জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করবে।

মানবকণ্ঠ/এফআই


poisha bazar