ফেব্রুয়ারিতে ভ্যাকসিন পাওয়ার আশা


- অনলাইন ডেস্ক
- ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:৪৩
আগামী ফেব্রুয়ারিতে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকার বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা হচ্ছে। যে টিকাই আগে আসবে, সেটাই আনার চেষ্টা করা হবে। ফেব্রুয়ারিতেই ভ্যাকসিন পাব আশা করি। তবে তার চেয়ে বেশি দরকার স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে।’
এদিকে টিকা কেনার জন্য ১৬ নভেম্বর অর্থ বিভাগ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে গতকাল সোমবার জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ সংগ্রহের জন্য গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে সরকার চুক্তি করেছে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন-স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিবি-এল অ্যান্ড এএসপির লাইন ডিরেক্টর মো. শামিউল ইসলাম।
উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩১ জন মারা গেছেন। একইসময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৫১৩ জন। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৮টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৯৫৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ৫০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ২০২টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করা ৩১ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজার ৬৭৫ জনে।
এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৫১৩ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৬৭ হাজার ২২৫ জনে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৩৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৮৩ হাজার ২২৪ জন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এবং ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৬৭৫ জনের। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ১১৬ জন (৭৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৫৫৯ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৩৬ শতাংশ)।
মানবকণ্ঠ/এইচকে
আরো সংবাদ
