Image description

অনেকেরই মাঝে মধ্যে মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হয়। আর এই রক্তক্ষরণ কিন্তু একদমই ভালো কোনো লক্ষণ নয়। মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হলে মাড়িতে ব্যথাও হয়। অনেক সময় শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করার ফলে বা অন্য কোনো কারণের জন্য কিন্তু রক্তক্ষরণ হতেই পারে। আর তাই এমন সমস্যা হলে মোটেই ফেলে রাখবেন না। যত দ্রুত সম্ভব চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ নেয়া উচিত।

অনেক সময় সংক্রমণ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায় তাহলে কিন্তু সেখান থেকে ক্যান্সারের সম্ভাবনাও থেকে যায়। যদি ব্রাশ করার সময় মাড়ি থেকে রক্তপাত হয় তাহলে আপনি হয়তো জিঞ্জিভাইটিসে ভুগছেন। এক্ষেত্রে সাবধান যেমন হতে হবে তেমনই কিন্তু চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। কারণ তিনিই আপনাকে সঠিক চিকিৎসার পথ বাতলে দেবেন।

তবে এক্ষেত্রে আপনি মেনে চলতে পারেন ঘরোয়া কিছু টোটকা। এতে হয়তো সাময়িক কাজ হবে, কিন্তু চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও কিন্তু ভুলবেন না।

লবঙ্গ তেল: দাঁতের যেকোনো সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে লবঙ্গ। লবঙ্গ মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। সেই সঙ্গে যেকোনো সংক্রমণজনিত সমস্যা থেকে দূরে রাখে। আর তাই লবঙ্গ মুখে রাখুন কিংবা ব্যবহার করতে পারেন লবঙ্গ তেল। এতে কিন্তু দাঁতের ব্যথা কিংবা মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা বন্ধ হয় দ্রুত।

অ্যালোভেরা জেল: মাড়ি সমস্যায় অ্যালোভেরা জেলও কিন্তু ভালো কাজ করে। অ্যালোভেরা জেল মাড়িতে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতেও কিন্তু আরাম পাবেন। আবার নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খেতে পারলেও এই সমস্যার সমাধান হয়।

নিয়মিত ব্রাশ করুন: প্রতিদিন অন্তত দুবার করে ব্রাশ করুন। এতে দাঁত থাকবে পরিষ্কার। সেই সঙ্গে মুখে কোনোরকম সংক্রমণ হবে না। এছাড়াও মুখে দুর্গন্ধ, ঘা, পুঁজ এ রকম সমস্যাও আসবে না। ছোট থেকেই এই অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ফল ও সবজি: ফলের জুস নয়, তাজা ফল চিবিয়ে খান। যত ভালো করে খাবার চিবিয়ে খাবেন ততই কিন্তু তা দাঁতের জন্য ভালো। এছাড়াও প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন শাক-সবজি। এতে শরীর প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন পুষ্টি পাবে। অনেক সময় অপুষ্টিজনিত কারণ থেকেও কিন্তু এমন সমস্যা হতে পারে।

গরম পানি লবণ দিয়ে গার্গল: খুব বেশি গরম পানি নেবেন না। এতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। বরং ইষদুষ্ণ পানি নিয়ে তাতে এক চামচ লবণ ফেলে বারবার গার্গল করুন। কুলি করুন। এতে মুখের সংক্রমণ কিংবা দুর্গন্ধজনিত সমস্যা অনেকটাই দূর হবে।

মানবকণ্ঠ/এফআই