Image description

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় এনবিআরকে ১২ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১২ কোটি টাকা কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলায় এ রায় দেন।

রায়ের আগে পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ব্যক্তি ও পারিবারিক লাভের জন্য ট্রাস্ট করেন ড.মুহাম্মদ ইউনূস। মৃত্যুভয় থেকে সেই ট্রাস্টে টাকা দান অকল্পনীয়।

এর আগে দানের বিপরীতে ধার্য করা প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা আয়কর চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পাঠানো নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা পৃথক তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। এনবিআরের ওই নোটিশগুলোর বৈধতা নিয়ে রায়ের জন্য আজ ৩১ মে দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

২০১২-১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়। আর ২০১৩-১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।

দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ড. ইউনূস। বাদীর দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এ কর দাবি করতে পারে না।

এরপর ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর ইউনূসের আবেদন খারিজ করেন আদালত। ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা (রিট আবেদন) করেন।

ওই মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।