স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু ও ভাসুরের ৭ বছর কারাদণ্ড


  • প্রতিনিধি, দৈনিক মানবকণ্ঠ
  • ১৯ মার্চ ২০২৩, ২১:২৭,  আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩, ২১:৩৯

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আলে­ক আলী (৪৫)কে আমৃত্যু ও ভাসুরকে ৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। স্বামী আলেক আলীকে কারাভোগসহ আরও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ধার্য করা হয় এবং ভাসুর মনা মিয়াকেও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম রায় ঘোষণাকালে ভাসুর মনা মিয়া আদালতে উপস্থিত থাকলেও আমৃত্যু কারাদণ্ড স্বামী আলেক আলী পলাতক ছিলেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো - ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রামের বাসিন্দা সোনা উল্লাহর ছেলে আলেক আলী (৪৭) ও মনা মিয়া (৫২)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৩০ জুন সকালে মিরপুর উপজেলার লক্ষিধরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মসলেম উদ্দিনের কন্যা নিহত হাফিজা খাতুন (২০) তার স্বামী বাড়ির পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে তাকে ওই পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনার আড়াই মাস পর নিহতের মামা মিরপুর উপজেলার মোশারফপুর গ্রামের কিসমত আলীর ছেলে আসমত আলী নিহতের স্বামীসহ ৬জনের নাম উল্লেখসহ ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ভেড়ামারা থানার পুলিশ পরিদর্শক আবু জাফর ২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিল নিহতের স্বামীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এ মামলার আসামিরা উচ্চ আদালতে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, ‘পারিবারিক কলহের জেরে পরিকল্পিতভাবে গৃহবধু হাফিজাকে কৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে পুকুরের পানিতে লাশ ফেলে রাখে আসামিরা। গৃহবধু হত্যার মামলাটির সাক্ষ্য শুনানী শেষে নিহতের স্বামী ও ভাসুরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় স্বামীকে আমৃত্যু এবং ভাসুরকে ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত’।

মানবকণ্ঠ/এসএ


poisha bazar