পরিকল্পনা করে উপস্থাপনায় আসিনি: সোনিয়া রিফাত

- অচিন্ত্য চয়ন
- ১৪ মার্চ ২০২৩, ২১:১৭
সোনিয়া রিফাত প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ। শিশু সাংবাদিকতা দিয়ে শুরু করে আবৃত্তিচর্চা করতে করতে এক সময় সিটিএফএম’র আরজে এবং প্রডিউসার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর রেডিওটুডেতেও আরজে হিসেবে করেছেন দীর্ঘদিন। তার স্বপ্ন ছিল নিজেকে একজন উপস্থাপিকা হিসেবেই তুলে ধরবেন। বর্তমান সেই স্বপ্ন উপস্থাপনা নিয়েই বেশি ব্যস্ত। দেশের প্রথম সারির বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে উপস্থাপনা করছেন। উপস্থাপনায় প্রশংসাও পাচ্ছেন। ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা ও বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। কথা বলেছেন— অচিন্ত্য চয়ন
উপস্থাপনা পেশায় আসার কারণ
উপস্থাপনায় পরিকল্পনা করে তো আসিনি। তাই কারণটাও বলতে পারছি না। তবে স্কুলের শিশু সাংবাদিকতা দিয়ে শুরু। এরপর সাংবাদিকতাকে ভালোবাসতে শুরু করলাম। তবে উপস্থাপনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় রেডিও শুনতে শুনতে। প্রথমে রেডিও জকি ছিলাম। তারপর মনে হলো টিভিতে একটু অডিশন দিয়ে দেখি। সেই ২০১৬ সালে এনটিভিতে জানার আছে বলার আছে প্রোগ্রাম দিয়ে শুরু। তারপর কখন যে পেশা হিসেবে নিয়ে ফেলেছি নিজেই বুঝিনি। তবে কাজটা খুব উপভোগ করি।
পেশা হিসাবে কীভাবে দেখেন?
পেশা হিসেবে উপস্থাপনা চমত্কার। তবে সব কিছু তো সবার জন্য না। যাদের প্রতিদিন নতুন নতুন বিষয়, নতুন মানুষের সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে তারা এটা এনজয় করবে। আর সেই মজার কাজটা থেকে যদি সম্মানীও পাওয়া যায় তাহলে এর চেয়ে ভালো পেশা আর কি হতে পারে?
ভালো লাগার জায়গা— টেলিভিশন নাকি রেডিও
একেকটি প্লাটফর্মে ভালো লাগার বিষয়টি একেক রকম। টেলিভিশন, রেডিও, মঞ্চ- সব জায়গাতেই কাজ করতে ভালো লাগে। যদি আলাভাবে বলি— রেডিওতে কাজ করার মজা ভিন্ন রকম। কারণ সেখানে অনেকটা স্বাধীনভাবে কথা বলা যায়। রেডিওতে নিজের সবটুকু সৃজনশীলতা ব্যবহার করা যায়। কিন্তু টেলিভিশনে অনেক কিছু মাথায় রেখে উপস্থাপনা করতে হয়।
নেতিবাচক অভিজ্ঞতা
শুধু শোবিজ না যে কোনো সেক্টরেই নেতিবাচক বিষয় থাকে। সেগুলো ওভারকাম করেই কাজ করতে হয়। শোবিজে তো নানা ধরনের প্রলোভন থাকে, মাঝে মাঝে কিছু মানুষের এপ্রোচ প্রচণ্ড সম্মানে লাগে। আর স্যোসাল মিডিয়া বুলিং তো আছেই। একটা অনুষ্ঠান পুরোটা না দেখেই ছোট একটা ক্লিপ কেটে ভাইরাল করে দেয়ার প্রবণতা এত বেড়েছে এখন যেগুলো পীড়া দেয়!
নতুন কাজ
নতুন কাজ বলতে বেশ কয়েক মাস হলো স্পোর্টস শো শুরু করেছি। বেশ উপভোগ করেই কাজটা করছি। যেদিন ম্যাচ থাকে চেষ্টা করি পুরো ম্যাচটা টিমের সাথে বসে দেখার। তারপর অনুষ্ঠানে বসি\ ধীরে ধীরে স্পোর্টসে আত্মবিশ্বাস বাড়ছে।
অগ্রজদের সহযোগিতা
উপস্থাপনায় অগ্রজ বলতে মুনমুন আপু, পুতুল আপু, দেবাশীষ দা তাদের দেখেছি। অনুপ্রানিত হয়েছি । কিন্তু একদম কাছ থেকে কারও পরামর্শ নেয়ার সুযোগ হয়নি কখনো। নিজের মত কাজ করে যাচ্ছি।
প্রথম ও প্রিয় কাজ
আমার দিনের প্রথম শুরু হয় ম্যাও শুনে। মানে আমার বিড়াল মিম্মি। সে ভোর ৬টায় ঘুম থেকে ওঠে তাকে খাবার দিয়ে শান্ত করে তারপর আমার দিন শুরু হয়। প্রিয় কাজ অবশ্যই উপস্থাপনা করা। এর পর পশু পাখির কাছাকাছি থাকতে ভিষণ ভালো লাগে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ভবিশ্যত্ পরিকল্পনা কখনো করিনি। বর্তমানে বিশ্বাস করি আমি। তবে স্বপ্ন হলো নিজের উপস্থাপনাটাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া যখন পরের জেনারেশন বলবে যে সোনিয়া রিফাত আপুর মত উপস্থাপক হতে চাই। বা উপস্থাপনাকে প্রফেশন হিসেবে নিতে চাই।
উপস্থাপনার পেশার ভবিষ্যৎ
বাংলাদেশে এখন অনেক টেলিভিশন চ্যানেল। এছাড়া বাইরেও প্রচুর সুযোগ রয়েছে কাজ করার। তাই উপস্থাপনাকে এখন অনেকেই প্রফেশন হিসেবে নিতে পারছে। সামনে এই সুযোগ আরও বাড়বে বলেই মনে হয় আমার\
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পরামর্শ
উপস্থাপনায় উচ্চারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা উচ্চারণটা অবশ্যই ভালো করতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজিটাও গুরুত্বপূর্ণ। সবসময় আপডেট থাকতে হয়। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হয়। তাই প্রচুর বই পড়তে হবে এবং পত্রিকাগুলোতেও নজর রাখতে হবে। আর রেডিও-টিভিতে সিভি দিয়ে রাখলে অডিশনের সময় ডাকা হয়। সেভাবে খোঁজ রাখতে হবে। পরবর্তী প্রজন্ম আরও ভালো কাজের পরিবেশ পাক সেই প্রত্যাশা করি। সেই জায়গাটা তৈরি করে দিয়ে যেতে চাই।
প্রেম-বিয়ে
প্রেম করে বিয়েও করেছি। সবার দোয়ায় ভালো আছি।
মানবকণ্ঠ/এসআরএস


