আর্থিক সংকটে জার্মানি


  • অনলাইন ডেস্ক
  • ২৬ মে ২০২৩, ১২:৩৩

বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দার কারণে ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। টানা মূল্যস্ফীতি জার্মানির অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জার্মানির অর্থনীতিতে এর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের। দেশটিতে দেখা দিয়েছে চরম মূল্যস্ফীতি।

জার্মানির পরিসংখ্যান অধিদপ্তর জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত অর্থনীতি ০ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। তার আগের তিন মাস অর্থাৎ, গত বছরের শেষ প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি ০ দশমিক ৫ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল। কোনো দেশের অর্থনীতি যদি পরপর দুই প্রান্তিকে সংকুচিত হয়, তাহলে দেশটিতে মন্দা সৃষ্টি হয়েছে বলে ধরা হয়।

বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে চলতি বছরের এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। যা গড়ে ইউরো অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ, কিন্তু যুক্তরাজ্যের চেয়ে কম। একই মাসে যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

জার্মানিতে অত্যাধিক দামের কারণে খাবার, পোশাক ও আসবাবপত্রের মতো খাতে পারিবারিক ব্যয় কমেছে। অন্যদিকে, জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে ব্যবসা ও শিল্পোৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

দেশটির ফেডারেল স্ট্যাটিসটিক্স এজেন্সি 'ডিস্ট্যাটিস'র এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দিনের পর দিন উচ্চ মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকায়, বছরের শুরুতেই তা জার্মান অর্থনীতির ওপর বোঝা হয়ে চেপে বসেছিল। এখন তা ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে।

জার্মান সরকারের ব্যয়ও কমেছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড গাড়ির জন্য সরকারি অনুদান ফিরিয়ে আনার পর গাড়ি বিক্রিও কমে গেছে। যদিও রাশিয়ার জ্বালানির উপর জার্মানির অতিনির্ভরশীলতার কারণে কেউ কেউ আরও ভয়াবহ মন্দা হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্বানুমানের তুলনায় মন্দার তীব্রতা কম হওয়ার পেছনে অপেক্ষাকৃত কম শীতল শীতকাল ও কোভিডসংক্রান্ত বিধিনিষেধ কাটিয়ে চীনের অর্থনীতি পুনরায় চালু হওয়া ভূমিকা রেখেছে। চীনের সহায়তার কারণেই জার্মানিতে জ্বালানির উচ্চমূল্যের নেতিবাচক প্রভাব কম পড়েছে, নইলে দেশটিতে জ্বালানি খাতে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, জার্মানিতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে, বেড়েছে রপ্তানিও। কিন্তু এগুলো মন্দায় পড়ার হাত থেকে দেশটিকে বাঁচাতে পারেনি। এলবিবিডব্লিউ ব্যাংকের অ্যানালিস্ট ইয়েন্স-অলিভার নিকলাশ বলেন, 'প্রাথমিক সূচকগুলো এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও সবকিছু দুর্বল হয়ে পড়বে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।'

মানবকণ্ঠ/এফআই


poisha bazar