পাকিস্তানে বিলাসবহুল গাড়ি আমদানির ছাড়পত্র

- অনলাইন ডেস্ক
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:২৮
ডলারের রিজার্ভ তলানিতে নেমে যাওয়ায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। খাদ্যদ্রব্য-ওষুধ-জ্বালানির দাম দিন দিন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে; কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যেও দেশটির সরকার বিলাসবহুল গাড়ি আমদানির ছাড়পত্র দিয়েছে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির বিভিন্ন সমুদ্রবন্দরে বিদেশ থেকে আমদানি করা সারি সারি কন্টেইনার পড়ে আছে। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর— ৬ মাস ধরে বন্দরে এসে জমেছে কন্টেইনারগুলো।
খাদ্যপণ্য, ভোক্তাপর্যায়ে ব্যবহৃত সামগ্রী, শিল্পপণ্য, ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল, গাড়িসহ বিভিন্ন পণ্যের এসব কন্টেইনার থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ পণ্য খালাস করতে পারছে না অর্থের অভাবে। কারণ, যেখানে একটি ন্যূনতম অর্থনৈতিক ভারসাম্য ধরে রাখতে একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো ডলারের মজুত থাকতে হয়, সেখানে পাকিস্তানের রিজার্ভে মাত্র কয়েক সপ্তাহের আমদানি ব্যয় মেটানো মজুত আছে বর্তমানে।
এ কারণে সীমাহীন অর্থনৈতিক চাপে আছে পাকিস্তান। বিশ্বের বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে অন্যসব পণ্য খালাসের ছাড়পত্র না দেওয়া হলেও আমদানি করা ২ হাজার ২০০ বিলাসবহুল গাড়ি খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের কাস্টমস বিভাগের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমদানি করা এসব গাড়ির অধিকাংশই এসেছিল গত বছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর— অর্থাৎ বছরের শেষার্ধের প্রথম তিন মাসে। পরের তিন মাসে আসা গাড়ির সংখ্যা খুবই কম।
মানবকণ্ঠ/এফআই


