

অ্যালকোহল পানে নানান স্বাস্থ্য ঝুঁকি হানা দেয়। মদ্যপান করে যেকোনো যানবাহন চালানো দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে এবং তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। মদ্যপানের আইনী বিড়ম্বনা এড়াতে এবং মাতাল অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে জানতে হবে কতক্ষণ তা শরীরে প্রভাব বিস্তার করে।
শরীরে অ্যালকোহলের স্থায়ীত্ব: বিষয়টি নির্ভর করবে মদ্যপানকারীর শরীর কত দ্রুত মদ বিপাক করতে পারে তার উপর। বেশিরভাগ মানুষ প্রতি ঘণ্টায় একগ্লাস আদর্শ মাপের মদের অর্ধেক পরিমাণ বিপাক করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কেউ যদি ৮০ মি.লি.লিটার মদ পান করেন তবে দুই ঘণ্টা পরে তার শরীরে অবশিষ্ট থাকবে ৫০ মি.লি.লিটার।
‘ব্রেথালাইজার’ একজন মানুষের মুখনিঃসৃত বাতাসে অ্যালকোহলের পরিমাণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তার রক্তে অ্যালকোহলের ঘনত্ব পরিমাপ করে। এই যন্ত্রের ফলাফল যদি ০.০৮ বা তার বেশি হয় তাহলে ধরে নেওয়া হবে ওই ব্যক্তি নেশাগ্রস্ত বা মাতাল। গড় ওজন ৭২ কেজি হলে একজন মানুষের সেই পর্যায়ে পৌছাতে প্রয়োজন হবে প্রায় চার ‘পেগ’ মদ। তবে এটাও মনে রাখতে হবে প্রতিটি মানুষের শরীর ভিন্ন এবং তার উপর মদ্যপানের প্রভাবও ভিন্ন।
মদ্যপানের পর ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত একজন মানুষের রক্তে অ্যালকোহলের উপস্থিতি থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাস ও মুত্রে উপস্থিতি থাকে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। আর চুলে তার উপস্থিতি থাকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত।
চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, লিভার, কিডনি থেকে শুরু করে শরীরে যেসব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ রয়েছে, সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। মদ্যপানে উচ্চ রক্তচাপ হয়। তাই অ্যালকোহলের ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে এড়িয়ে চলুন মদ্যপান।
মানবকণ্ঠ/এসএ