

স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার সঙ্গে দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনে (পিএসজি) যোগ দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ২০২১ সালের আগস্টে বিনা ট্রান্সফার ফিতে ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর শনিবার সেখানে নিজের শেষ ম্যাচও খেলে ফেলেছেন তিনি।
ফরাসি জায়ান্টদের সঙ্গে মেসির সম্পর্ক ছিল দুই বছর। সাতবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এই ফরোয়ার্ড অবশ্য শেষটা রাঙাতে পারেননি। ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে লিগ ওয়ানে ২০২২-২৩ মৌসুমে নিজেদের শেষ ম্যাচে ক্লেঁমোর কাছে ২-৩ গোলে ব্যবধানে হেরেছে ক্রিস্তোফার গালতিয়েরের শিষ্যরা।
অর্থাৎ হার দিয়ে পিএসজি অধ্যায়ের ইতি টেনেছেন মেসি। চলুন একনজরে দেখে নেয়া যাক কেমন ছিল মেসির পিএসজি অধ্যায়।
অনেক আশা-ভরসা ও স্বপ্ন নিয়ে পিএসজিতে এসেছিলেন মেসি। তাকে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার স্বপ্ন দেখেছিল ফরাসি ক্লাবটি। তবে তার কিছুই পূরণ হয়নি। এছাড়া মাঠের বাইরের নানা ইস্যুতেও মেসির সঙ্গে পিএসজির সম্পর্কে টানাপোড়নের বিষয়টি বার বার গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
মূলত ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর থেকেই মেসির প্রতি ফরাসি সমর্থকদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসে। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই মেসিকে দুয়ো দিয়েছেন পিএসজি সমর্থকরা। মেসির বিদায়ী ম্যাচেও দেখা গেছে অভিন্ন চিত্র। সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে যে সম্মানটুকু প্রাপ্য, সেটি কখনোই পিএসজিতে পাননি মেসি।
পিএসজির জার্সিতে দুই মৌসুমে ৭৫ ম্যাচ খেলেছেন মেসি। এ সময় ৩২ গোলের পাশাপাশি তিনি করেছেন ৩৫ অ্যাসিস্ট। বিদায় বেলায় দলকে লিগ ওয়ানের শিরোপা জিতিয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
মেসির পরবর্তী গন্তব্য কোথায় সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা যে ফ্রান্সে থাকছেন না সেটা শতভাগ নিশ্চিত।
এদিকে মেসিকে দলে ভেড়াতে উঠে পড়ে লেগেছে তার সাবেক ক্লাব বার্সেলোনা, সৌদি ক্লাব আল-হিলাল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মিয়ামি। সবকিছু ঠিক থাকলে রেকর্ড বেতনে সৌদি ক্লাব আল হিলালে তার যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আবার অলৌকিক কিছু হলে শৈশবের ক্লাব বার্সায়ও ফেরা হতে পারে তার।
মানবকণ্ঠ/এফআই