করোনাকালীন উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এশা


- অনলাইন ডেস্ক
- ১৪ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:৩৫
মোঃ আশরাফুল ইসলাম সুমন : সৈয়দা নাজিয়া এশা। বসবাস করেন বগুড়া সদরে। স্কুল জীবন শুরু করেন বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন দিয়ে। এরপর সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে এখন পড়াশোনা করছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে। এর পাশাপাশি তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে সে নারী উদ্যোক্তা।
বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা খুবই কম। এর বড় কারণ সামাজিক ও পারিবারিক দিক থেকে বিভিন্ন প্রতিকূলতা। বলা যায়, বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক অবস্থায় এখনো নারী উদ্যোক্তাবান্ধব হয়ে ওঠেনি। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে অনেক নারী উদ্যোক্তা হয়েছেন। আর এমন নারীদের মধ্যে এশা একজন।
এশা বলেন, ছোটোবেলা থেকেই আমার ডিজাইনিং ও পেইন্টিং অনেক পছন্দ। ক্লাস থ্রি থেকে স্কুলের চারুকারু ও ড্রইং সাবজেক্টের জন্যে ভর্তি হই একটা আর্ট ক্লাসে। সেখান থেকেই আমার হাতেখড়ি। শখ তো ছিলই বটে তবে প্রফেশনাল কোর্সটা শুরু হয় আমার নৃত্য ছন্দমে। নৃত্য ছন্দমের ফারুক স্যারের থেকেই সব শেখা। একদম ছোট বেলায় আম্মু আমাকে রং পেন্সিল, পেপার এসব দিয়ে বসিয়ে রাখতো। তখন কত কিছু যে মনের মাধুরী মিশিয়ে এঁকেছি তার ঠিক নেই। সেগুলা রাখাও ছিল যত্নে অনেক দিন। একটা দুর্ঘটনাবসত সেগুলা নষ্ট হয়। যাই হোক, ৫ বছর টানা শিখেছিলাম আর্ট। করোনাকালীন সময়ে যখন অবসর সময় কাটছিল না তখন ভাবলাম বাসায় বসে কিছু একটা করায় যায়।
তিনি বলেন, সেই থেকে শুরু হয় 'দি অরা আক্সেসরিস' ফেসবুক পেইজের। আমি প্রথমে কাজ শুরু করি হাতে তৈরি গহনা বানিয়ে। কাঠ দিয়ে গহনা আজকাল অনেক দেখা যায়, তাই আমি চেয়েছি একটু ভিন্নতা আনতে। আমি নিজেও প্রথমে কাঠ শুরু করলেও পরে শুধু ফেব্রিক অর্থাৎ কাপড় তারপর লেস ফিতা, দড়ি, পুঁতি, চুমকি ইত্যাদি দিয়ে করার চেষ্টা করেছি। খুব শীঘ্রই স্ক্র্যাপবুক, ফটো এ্যালবাম, ক্যাফটিং এর কিছু জিনিস নিয়ে কার্যক্রম শুরু করবো। আমার এই পথচলায় আমার সঙ্গী হিসেবে আছেন আমার মা ও আমার মেজো বোন। তাদের সাহায্য ছাড়া কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। পরিবার থেকে সব রকম সাপোর্ট পেয়েছি। যা আমার কাজের জন্যে বড় অনুপ্রেরণা। দক্ষতার সঙ্গে আমি চেষ্টা করছি ভালো সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জনের। গ্রাহকের কাছে তাদের পছন্দের পণ্য পৌঁছে দিতে পেরে আমি খুশি। আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা ব্যবসাটাকে বড় করে কিছু মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করা।

