

আশির দশকে ধসে পড়া চলচ্চিত্র আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছিল যার কারণে। তার কথা-বার্তা, আচার-আচরণ, স্টাইল কিংবা অভিনয়ে ছিল রুচিশীলতার ছাপ। যিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নিজের সময়ের চেয়েও এগিয়ে থাকা একজন অভিনেতা ছিলেন; তিনি হলেন সালমান শাহ।
আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সেই ক্ষণজন্মা নায়কের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে ৫৩ বছরে পা রাখতেন তিনি।
মৃত্যুর ২৭ বছর পরেও তিনি এখনও সমানভাবে আলোচিত, জনপ্রিয় ভক্তদের কাছে। মাত্র চার বছর চলচ্চিত্রে কাজ করে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। জয় করেছিলেন ভক্তদের হৃদয়। বরাবরের মতো সালমান শাহকে পরম ভালোবাসায় স্মরণ করছে তার ভক্তরা।
সালমান শাহর জন্ম ১৯৭১ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরে দাড়িয়া পাড়ার তার নানা বাড়ি আব এ হায়াত ভবনে, যা এখন সালমান শাহ্ ভবন হিসেবে পরিচিত। তার পিতা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। তিনি পরিবারের বড় ছেলে।
সালমান পড়াশোনা করেন খুলনার বয়রা মডেল হাইস্কুলে। ১৯৮৭ সালে তিনি ঢাকার ধানমন্ডি আরব মিশন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও ধানমন্ডির মালেকা সায়েন্স কলেজ থেকে বিকম পাস করেন।
সালমান শাহ তার অভিনয় জীবন শুরু করেন টেলিভিশন নাটকের মাধ্যমে। তার প্রথম অভিনীত নাটক ‘পাথর সময়’ প্রচারিত হয় ১৯৯৩ সালে। সালমান শাহের চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে। ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবির নাম ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত'। ব্লকবাস্টার সে ছবির পর সালমানকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। চলচ্চিত্র অভিনয় জীবনের ক্যারিয়ারে তার সর্বমোট ছবির সংখ্যা সাতাশ।
সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। ঢাকার ইস্কাটনে তার নিজ বাস ভবনে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার এই আকস্মিক মৃত্যু স্তব্ধ করে দেয় গোটা বাংলাদেশকে। আজও দেশের মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্রের বরপুত্রখ্যাত সালমান শাহ।
সালমান শাহ অভিনীত ছবির মধ্যে অন্যতম- কেয়ামত থেকে কেয়ামত, বিক্ষোভ, স্বপ্নের ঠিকানা, মহামিলন, বিচার হবে, তোমাকে চাই, তুমি আমার, অন্তরে অন্তরে, স্বপ্নের নায়ক, সুজন সখী, দেনমোহর, স্বপ্নের পৃথিবী, জীবন সংসার, চাওয়া থেকে পাওয়া, প্রেম পিয়াসী, এই ঘর এই সংসার, আনন্দ অশ্রু ইত্যাদি।
মানবকণ্ঠ/এআই