সদস্যপদ বাতিল হলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন জায়েদ


  • অনলাইন ডেস্ক
  • ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:০২

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জায়েদ খানের দ্বন্দ্ব এখনও চলমান। এই পদটি নিয়ে মামলা গড়িয়েছে আদালতে। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ‘আপতত’ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই নিপুনের।

জায়েদের দাবি, অন্যায়ভাবে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন নিপুণ। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে সরাসরি কথা বলেছেন তিনি, যা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি নিপুণ। ফলে তাকে এসব বক্তব্যের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে।

গতকাল শনিবার (১ এপ্রিল) পাঠানো নোটিশের জবাব দিয়েছেন জায়েদ। সেখানে তিনি জানান, পেশাগত কারণে দেশের বাইরে অবস্থান করায় শিল্পী সমিতি থেকে পাঠানো কারণ দর্শানোর নোটিশের উত্তর দিতে বিলম্ব হয়েছে।

জায়েদ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদটির বৈধতা নিয়ে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় নিজেকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে ইস্যু করা চিঠিটি সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য আপিল বিভাগ অবমাননার শামিল। বিচারাধীন মামলাটি Frustrate (পড়ুন ব্যর্থ) করার অসৎ উদ্দেশ্যে ২২ ফেব্রুয়ারি ইস্যু করা হয়েছে। উক্ত অবৈধ নোটিশের প্রেক্ষিতে গৃহীত যে কোনো অবৈধ কার্যকলাপের সাথে সম্পৃক্ত হলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন।’

জায়েদ দাবি করেন, তিনি শিল্পী সমিতির বিরুদ্ধে কোনোরকম মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেননি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির তিনবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি সংগঠনের উদ্দেশ্যাবলীর পরিপন্থী, সংগঠনের স্বার্থের বিরুদ্ধে সংগঠনের অবমাননাকর কোনো কার্যের সাথে কখনও সম্পৃক্ত ছিলাম না।’

তিনি জানান, অন্যায়ভাবে যদি তার সদস্যপদ বাতিল করা হয় তাহলে নিপুন ও অন্যান্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এদিকে জায়েদ খান বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি। আমার আইনজীবীর পরামর্শ অনুযায়ী নিপুনের পঠানো কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিয়েছি।’

এদিকে নিপুণের স্বাক্ষর করা নোটিশে লেখা আছে, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিগত কয়েকদিন যাবত আপনি বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল ও গণমাধ্যমে দেখা যায় যে, আপনি সমিতির একজন সদস্য এবং সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হয়ে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করছেন, যা সমিতির সাধারণ সদস্য, চলচ্চিত্রের মানুষ তথা সারাদেশের দর্শকদের নিকট শিল্পীদের ও শিল্পী সমিতির ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ন করছেন, যা সমিতিতে রক্ষিত আছে। এহেন বক্তব্য সমিতির সদস্য হিসেবে কাম্য নয়। অতএব কেন আপনার বিরুদ্ধে সমিতির গঠনতন্ত্রের ৭(ক) ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না, তা পত্র প্রাপ্তির সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর অনুরোধ করা হইল।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস


poisha bazar