Image description

বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে কয়েক দিন ধরে। আড়াই মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার পর সোমবার (০৫ জুন) দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে এই পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।

গত চার দিনে ৫ লাখ ৪ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৫ হাজার মেট্রিক টন আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা) মো. কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত সোমবার থেকে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৪ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশে এসেছে ১৫ হাজার মেট্রিক টন।

বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

বর্তমানে বাজারে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৩৭৫ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, যা কেজিতে পড়ছে ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা। ফরিদপুরের পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি করা হচ্ছে ৩১০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা, যা কেজিতে পড়ছে ৬২ থেকে ৬৮ টাকা। রাজশাহীর পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি করা হচ্ছে ৩৭৫ টাকা, যা কেজিতে পড়ছে ৭৫ টাকা। এছাড়া আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৩২৫ টাকা, যা কেজিতে পড়েছে ৬৫ টাকা।

অথচ ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরুর আগে এ বাজারেই প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকার বেশি বিক্রি হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি রোধে আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস