মহানগর উত্তর-দক্ষিণের ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটি গঠন

শীর্ষ পদে বিতর্কিতদের নাম!


  • রফিকুল ইসলাম
  • ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:০৪

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানার শীর্ষ পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি, চাঁদাবাজ, রাজাকারের সন্তান, নব্য আওয়ামী লীগ, বিত্তশালী বিএনপি নেতা ও বিতর্কিতরা। যদিও বিষয়টি মানতে নারাজ মহানগর আওয়ামী লীগ। তাদের দাবি কোনো ভাবেই বিতর্কিতদের দলের স্থান দেয়া হবে না।

নগর আ.লীগ সূত্রে জানা যায়, ওয়ার্ড-ইউনিট এবং থানা সম্মেলনে কমিটি গঠনের জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাব কমিটি করে দিয়েছিল। ওই সব সাব কমিটি সফলভাবে সম্মেলন করলেও এখন কমিটি গঠনে তাদের মতামত গ্রহণ করা হচ্ছে না। মহানগরের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে গৌরব, সাধারণ সম্পাদকের ছেলের মাধ্যমে নতুন করে সিভি গ্রহণ করা হচ্ছে।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, পল্টন থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে ফ্রিডম মানিকের ঘনিষ্ঠশিষ্য, শান্তিনগরে সাদা এবং তৎকালীন ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাওছার হত্যার অন্যতম এজাহারভুক্ত আসামী আলী রেজা খান রানাকে। ২০১৩ সালে অবৈধ অস্ত্র, ৮৬ রাউন্ড গুলি এবং ৪০০ ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। নগর আ.লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর ঘনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচিত আলী রেজা খান।

শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ হোসেন সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। শাহবাগ এলাকার ডিস ব্যবসায়ী থেকে উত্থান হওয়া এই নেতা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে আজিজ সুপার মার্কেটের জায়গা দখল করে হোটেল ব্যবসা, সাধারণ ব্যবসায়ীদের মারধর, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।

সভাপতির পদে দৌড়ে থাকা বর্তমান সভাপতি জিএম আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। বিগত সম্মেলনে সভাপতি হওয়ার পর থেকেই তিনি পোড়া মার্কেট, পীর ইয়ামিনী, ট্রেড সেন্টার, খদ্দর মার্কেট, বঙ্গমার্কেটে নামে বেনামে অসংখ্য দোকান করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের আলী আহমদকে কমিটিতে রাখার কারণে ক্যাসিনোর অর্থ পেতেন তিনি।

কাউন্সিলরদের দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে না রাখার কেন্দ্রের একটা সিদ্ধান্ত আছে। কিন্তু ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। সভাপতি নিজের ছেলে ৩৮ নম্বর ওয়াডের কাউন্সিলর আহমেদ ইমতিয়াজ গৌরবকে ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাক করতে চান। একইভাবে ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি করতে চান আরেক কাউন্সিলর মনোয়ার হোসেন আলোকে। মহানগরের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির তার ভাই কাউন্সিলর মকবুল হোসেনকে লালবাগ থানায় শীর্ষ পদে রাখতে চান।

নগরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি হতে চান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর ছেলে আহমেদ ইমতিয়াজ গৌরবের বন্ধু হিসেবে পরিচিত জাবেদ হোসেন মিঠু। এই মিঠু সদরঘাটে এক মূতিমান আতংকের নাম। সদরঘাট এলাকায় যে কোনো ব্যবসা করতে হলে মিঠু ও তার ভাই যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত জাভেদ হোসেন পাপনের অনুমতি নিতে হয়।

চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভাগিনা বখতিয়ার হোসেনকে আনতে চান তার মামা মহানগরের সম্পাদক হুমায়ুন কবির। বখতিয়ার হোসেন এক সময়ে যুবদল করতেন। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে। একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন তিনি। এ থানায় শাহীন খান নামেও একজন সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। তিনি মহানগরের শীর্ষ এক নেতাকে এ জন্য মোটা অঙ্কের টাকাও দিয়েছেন বলে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বলাবলি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী থানার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি পদপ্রাথী গিয়াস উদ্দিস গেসু এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও দখলাজ হিসেবে পরিচিত। বিলুপ্ত যাত্রা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ হারুন অর রশিদ মুন্নার লোক হিসেবে দাপিয়ে বেড়ান পুরো যাত্রাবাড়ী। আরেক সভাপতি প্রাথী জাহিদ হাসান জুয়েলের বিরুদ্ধেও এলাকায় মাদকের ব্যবসা পরিচালনা, ফুটপাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। সভাপতি হতে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছেন করেছেন বলে স্থানীয় নেতাকমীরা অভিযোগ রয়েছে।

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রাথী আবুল কালাম অনু কাউন্সিলের বিরুদ্ধে কেউ নতুন বাড়ি নিমাণ কিংবা রাস্তা কাটলে তার কাছ থেকে নিজস্ব বাহিনী দ্বারা টাকা আদায়, হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। তার আস্কারায় মাদকের বড় একটা সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে এ এলাকায়।
৪৯ নম্বর ওযাডে সভাপতি হতে চান রাগিব আল আহসান। সুদের ব্যবসা ও মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত। জাতীয় পাটির সক্রিয় এই নেতা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের মাধ্যমে মোটা অংকের লগ্মি করে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর মাধ্যমে সভাপতি পদ নিশ্চিত করতে চান বলে অভিযোগ। মো. মাসুম সভাপতি প্রাথী। বাবা জামায়াতের রোকন ছিল। নিজেও জামায়াতের সাথে গোপন সখ্যতা রেখে চলেছেন। স্থানীয় এমপি মনিরুল ইসলাম মনুর মাধ্যমে সভাপতির পদ নিশ্চিত হতে যাচ্ছেন।

৬০ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি হতে চান ৬১ নম্বর ওয়াডের ভোটার শনি ভুষণ দত্ত। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর ঘনিষ্ট লোক। একই অবস্থা সাধারণ সম্পাদক প্রাথী সফিকুল ইসলাম সফিক। তিনিও ৬১ নম্বর ওয়াডের ভোটার। ৬০ নম্বর ওয়াডের নেতাকমীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই।

সভাপতি প্রাথী জাহিদ চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর লোক হিসেবে পরিচিত থাকায় তার পদ অনেকটাই নিশ্চিত বলে জানা গেছে। ৬১ নম্বরে সভাপতি হতে চান ইস্রাফিল সরদার। তার ছোট ভাই বাদল জামায়াতের রোকন। ইস্রাফিল অতীতে জামায়াতের লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন এবং জেলও খেটেছেন।

আরেক সভাপতি প্রার্থী বদরুদ্দিন আহমেদ সানা ২০২০ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী ট্রাক্টর মাকায় ভোটে অংশ নেন। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেনকে ম্যানেজ করে আবু আহমেদ মন্নাফীর কোটায় বিদ্রোহী হয়েও গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিতে চান।

৬৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাইফুল মৃধা রাজনীতে সক্রিয় না থেকেও এমপি মনুর আস্থাভাজন হিসেবে সভাপতি হতে চান। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাঈমের বিরুদ্ধে ভূমি দখলের মামলা রয়েছে। ৬৪ নম্বর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আশফাকুর রহমান ভুট্টো ৭০ কোটি টাকার সাপের বিষসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সালাউদ্দিন আহমেদের আস্থাভাজন নেতা শাহীনের লোক হিসেবে এলাকায় চাঁদাবাজি, বাড়ি দখল, নতুন বাড়ি করলে সেখানে চাঁদাবাজি করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আরেক সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মঈনুদ্দিন বাবু রাজনৈতিক কর্মসূচির সাথে জড়িত ছিল না। রাজনৈতিক অবস্থানও নেই। সেও নেতা হতে চান।

সভাপতি প্রার্থী হারুনুর রশিদ ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপুরে একটি বাড়ি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। ৬৮ নম্বরে সভাপতি প্রার্থী নঈম খন্দকার রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও এবার বিশেষ কারণে পদ পাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হতে চান আবদুল আউয়াল। এক সময়ে যুবলীগের সভাপতি দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। বতমানে তবলিগ জামাত ও ব্যবসায় মনোযোগী।

এ ওয়াডে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইতালীর নাগরিক মনির হোসেন লিটন। ২০০৩ থেকে তার পরিবারও ইতালিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। তিনিও মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেনের লোক হিসেবে সাধারণ সম্পাদক পদ নিশ্চিত বলে তার অনুসারীদের বলে বেড়ান।

আরেক সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান মালয়েশিয়ায় বসবাস করেন। ঢাকায় তার রাজনীতিতে প্রভাব না থাকলেও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তিনি হুমায়ুন কবিরের লোক হিসেবে এ পদে দায়িত্ব পাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি প্রাথী মো. মামুন এলাকায় বসবাস করেন না। কখনোই দলীয় কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। ডেমরা থানায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ চান কাউন্সিলর আতিকুর রহমান আতিক। তার বড় ভাই ডেমরা থানা বিএনপির বর্তমান সভাপতি। পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে তিনি বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে কাউন্সিলর নিবাচিত হন।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাহমুদুল হাসান পলিন কাউন্সিলর। ডেমরা ঘাটে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভায় আগুন লাগানোর নেতৃত্বে ছিলেন তার পিতা আবদুল লতিফ অন্যতম। পলিন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর ছেলে গৌরবকে ‘মেইনটেইন’ করেন। সে কারণে তার পদ নিশ্চিত বলে জানা গেছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই পদেই আবেদন করেছেন নেহরিন মোস্তফা দিশি। মুলত তিনি ঢাকা-৫ আসনে এমপি হতে চান। এ নির্বাচনী এলাকায় বসবাস না করে শাহজাহানপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন তার পুরো পরিবার। শাহজানপুরে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য জোর লবি করছেন নুরনবী ভুইয়া রাজু ওরফে টেন্ডার ডন রাজু। ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া খালেদ ভুইয়ার ডান হাত হিসেবে পরিচিত। খালেদের লোক হিসেবে এক সময়ে পরিষদ, রেলওয়েসহ বিভিন্ন ভবনে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন রাজু। এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও ঝিলের জায়গা দখল করে পাম্প বসিয়ে বোতলজাত ব্যবসা করেন। ক্যাসিনো খালেদ গ্রেপ্তারের পর তিনি এখন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছেন। এ থানায় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন খালেদ ভুইয়ার আরেক সহযোগী ভিক্টোরিয়া ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিন। খালেদ ভুইয়া ব্যাগফুটে চলে যাওয়ার পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের লোক হিসেবে পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়ান পুরো এলাকা।

সভাপতি হতে চান এক সময়ে ফ্রিডম মানিক ও ক্যাসিনো খালেদের আশ্রয়দাতা আবদুল লতিফ। সে মহানগর সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের বেয়াই বলে জানা যায়।

৪১ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হতে চান হাজী দেলোয়ার হোসেন। সে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি। বিগত দিনে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। ১/১১ সময়ে চরম আওয়ামী লীগ বিরোধী ছিল বলে জানা গেছে।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস এবার সভাপতি হতে চান। তিনি একসময়ে বিএনপির নেতা ছিলেন। মিজা আব্বাসের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে হিসেবে এলাকায় পরিচিত। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছিলেন আলোচিত তসু হত্যা থেকে বাচতে। সাম্প্রতিক সময়ে নারী কেলেঙ্কারি মামলায় জেল খেটেছেন। সেসময়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। ১১ নম্বর ওয়াড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রাথী বিএম ফরহাদ অংকুর এবং রাশেদুল আলম রিংকু দুজনেই ক্যাসিনো খালেদের লোক হিসেবে পরিচিত। মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার দৌড়ে রয়েছে ফকিরাপুল ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ। যে ক্লাবের সভাপতি ছিলেন ক্যাসিনো খালেদ ভুইয়া। শ্যামপুর থানায় সাধারণ সম্পাদক প্রার্থিতার লবিং করছেন গাফফার দেওয়ান রাজীব। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের পুষ্ঠপোষকতা, ধোলাইপাড় থেকে জুড়াইন পযন্ত সড়কে অবৈধ দোকান বসিয়ে মাসহারা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

বিতর্কিতদের কোনোভাবেই কমিটিতে স্থান দেয়া হবে না জানিয়ে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মানবকণ্ঠকে বলেন, কোনো ভাবেই বিতর্কিত ও নানা কারণে অভিযুক্তদের স্থান দেয়ার সুযোগ নেই। যোগ্যদেরই মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কমিটিগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যেই দেয়া হবে।


poisha bazar