আজ সুপার ক্রিকেটার সাকিবের জন্মদিন

- অনলাইন ডেস্ক
- ২৪ মার্চ ২০২৩, ১২:১৪
একটা সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট ছিল নিভু নিভু প্রদীপের মতো। মাঝেমধ্যে আলোর আভা দেখিয়ে ক্রিকেটাররা চমক সৃষ্টি করতেন। বড় তারকা ক্রিকেটারের অভাব ও দলীয় পারফরম্যান্স না থাকায় অনেকবারই তীরে এসে ডুবে যায় তরী। সে সময় ফুরিয়েছে। সেই আলো স্থায়ী করার পেছনে বড় কারিগর সাকিব আল হাসান। দেশীয় ক্রিকেটের পান্ডব কিংবা নক্ষত্র যাই বলা হোক না কেন, আজ তার ৩৬তম জন্মদিন।
১৯৮৭ সালের এই দিনে (২৪ মার্চ) মাগুরায় জন্মগ্রহণ করেন বিশ্ব ক্রিকেটের এই তারকা ক্রিকেটার। মাগুরার আলোকদিয়া মাঠ থেকে বিকেএসপি হয়ে মিরপুর মাঠ কাঁপিয়ে সাকিব এখন রাজত্ব করে চলেছেন লর্ডস, ইডেন-গার্ডেনসেও।
সাকিব আল হাসানকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের একটা বই বলা চলে। নিশ্চয়ই সাকিবকে বই বলার বিষয়কে অনেকেই আদিখ্যেতা বলতে পারেন। চলুন সেই কারণও ব্যাখা করা যাক। আমরা যখন পড়াশোনা কিংবা জ্ঞান চর্চার চেষ্টা করি, তখন কিন্তু কোনো না কোনো বই থেকেই শেখার চেষ্টা করি। তেমনি বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময় বা এক যুগ আগেও এমন কোন ক্রিকেটার নেই, যিনি সাকিবের থেকে শিখতে চাননি।
উঠতি বয়সী ক্রিকেটার কিংবা দলে যেসব ক্রিকেটার রয়েছেন, তারা সবসময়ই সাকিবের কাছে নতুন কিছু শিখতে অধীর আগ্রহে বসে থাকেন। সেসব তরুণ ক্রিকেটারদের মাথায় সবসময় থাকে সাকিবের মতো তারকা হওয়ার লক্ষ্য। সাকিবের এক জীবনে এখন পর্যন্ত যত পাওয়া, তা নিয়েই তিনি কিংবদন্তীর কাতারে পৌঁছে গেছেন।
বিশ্ব ক্রিকেটে অলরাউন্ডারের তালিকায় বছরের পর বছর শীর্ষে থাকা মোটেও চাট্টিখানি কথা নয়। তিনি সাকিব আল হাসান বলেই হয়তো সম্ভব। শহীদ আফ্রিদি থেকে জ্যাক ক্যালিস কিংবা যুবরাজ সিং তারা বড় তারকা হলেও, দীর্ঘ সময় রাজত্ব ছিল না তাদের। সেক্ষেত্রে সাকিব অনেক দুর্দান্ত। অবশ্য সেই সুপার হিরো ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় পৌঁছে গেছেন। বয়সের ভারটাও নেহায়েত কম নয়, জীবনের প্রায় অর্ধেক সময় ক্রিকেটে ব্যয় করেছেন বাংলাদেশের এই সুপারস্টার।
সব মিলিয়ে হয়তো আর ২-৩ বছর ২২ গজে দেখা যাবে টাইগার ক্রিকেটারের। তারপরই ক্রিকেটকে সাকিব বিদায় বলে দেবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট যদি একটা বঙ্গপোসাগর হয়ে থাকে, তবে সাকিবকে সেই সাগরের নীল বলা যায়। সাকিবের মতো একজন খেলোয়াড় প্রতিটি দেশের চাহিদার কেন্দ্রে থাকে। লোকে বলে সাকিবের মাথা এদেশের ক্রিকেট ব্রেইনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। সেরা সাইকোলজির দিক থেকে সাকিব পৃথিবীর অন্যতম সেরা ক্রিকেটারও।
একথা বলার নিশ্চয়ই কারণ রয়েছে। কেননা মাঠের বাইরের শত শত সমালোচনা সাকিব কিভাবে পেছনে ঠেলে সামনে এগিয়ে চলেন, তা ভাবনার বিষয়। তিনিও যে রক্তমাংসে গড়া মানুষ। অন্য ক্রিকেটার থেকে সাকিব এখানেই অনন্য, মাঠের বাইরের গল্প সাকিব মাঠে আনতে পছন্দ করেন না। ২২ গজের সাকিব তাই নিশ্চয়ই কোটি ভক্তের আইডল। সব সমালোচনাকে পেছনে ফেলে ছুটে চলাই যেন সাকিবের লক্ষ্য।
সাকিব আল হাসান সেই প্রেম, যা বারবার ফিরে আসে দুর্বার গতিতে। মাঠের বাইরের কারণে সাকিবকে ঘৃণা আপনি করতেই পারেন, তবে ক্রিকেটের সাকিবকে প্রশংসার জোয়ারে ভাসাতে আপনি বাধ্য।
মানবকণ্ঠ/এফআই


