

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ৩০ দিনের ছুটি নিয়ে ১ বছর বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন প্রাথমিকের একজন সহকারী শিক্ষিকা। উপজেলার ৭৯ পূর্ব লামনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার লিজা চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়ে বিদেশে (লন্ডন) যান। কিন্তু একবছরেও বিদ্যালয়ে আসার কোন খবর নেই।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে শিক্ষিকা শারমিন আক্তার লিজা চিকিৎসার জন্য ৩০ দিনের ছুটি নিয়ে বিদেশ পারি দেন। শিক্ষিকার ৩০ দিনের ছুটি শেষ হলেও ১ বছররেও বিদ্যালয়ে উপস্থিত হননি তিনি। শিক্ষিকার চাকরি এখনও বহাল রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি শিক্ষা অফিসে জানানো হলেও শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
শিক্ষিকা শারমিন আক্তার লিজার অনুপস্থিতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এতে বিদ্যালয়ে পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকগণ। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাকে ভিন্নভাবে দেখা যায়, তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন নাকি ঘুরতে গেছেন বলে দাবি অনেকের।
শিক্ষকরা বলছেন, ১৪১ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য শিক্ষক মাত্র ছয়জন তাতেই শিক্ষকদের পাঠদানে হিমসিম খেতে হচ্ছে। মাত্র ছয়জন শিক্ষক তার মধ্যে একজন সহকারী শিক্ষিকার এমনভাবে বিদ্যালয়ে না আসায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। এই বিদ্যালয়ে খুবই প্রতিভাবান শিক্ষার্থী রয়েছে তারা তাদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) হেলেনা বেগম বলেন, শারমিন আক্তার লিজা এক মাসের ছুটি নিয়ে বিদেশ গেলেও ১ বছরেও আসেনি বিষয়টি শিক্ষা অফিসারকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। শিক্ষা অফিসার বলছেন তারা ব্যবস্থা নেবেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মীর রেজাউল ইসলাম বলেন, তিনি ডিপিইও-কে ছয় মাসের সময় জানিয়েছেন এবং এক বছর পার হওয়ার পর পুনরায় জানিয়েছেন। তিনি কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা, তা তিনি জানেন না।
মানবকণ্ঠ/এসএ