

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নবম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় মো. রক্তিম (১৮) নামে স্থানীয় এক কিশোর তাকে অপহরণ করেছে বলে ওই স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবার দাবি করছে।
শনিবার (২৬ মে) বিকেলে এ ঘটনায় তাড়াশ থানায় রক্তিমসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে অপহরণের একটি মামলা দায়ের করেছেন অপহৃত শিক্ষার্থীর মা মোছা. ছালমা খাতুন। এ অপহরণ মামলায় বাকি আসামিরা হলেন- রক্তিমের বাবা আফজাল হোসেন (৫৫), মা রেনু বেগম (৫০), ভাই রুবেল হোসেন (৩৩) ও আব্দুর রহিম (২৫)।
অপহরণে অভিযুক্ত রক্তিম তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের পুংরৌহালী গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। অপহৃত শিক্ষার্থী পাশ্ববর্তী পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা থানার করতকান্দি রুস্তম আলী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
অপহৃত ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ স্কুলে আসা যাওয়ার পথে রক্তিম উত্যক্ত করতো। পরে বিষয়টি রক্তিমের পরিবারকে বারবার জানালে তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এক পর্যায়ে বুধবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে নওগাঁ বাজারের বটতলায় পৌছালে রক্তিম ও তার পরিবারের লোকজন তাদের মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে তাদের মেয়েকে না পেয়ে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
পাবনা ভাঙ্গুরা থানার করতকান্দি রুস্তম আলী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসাইন বলেন, নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী অনেক মেধাবী। সে ৮ম শ্রেণিতে গোল্ডেন পেয়েছিল। নিয়মিত স্কুলে আসতো। কিন্তু ঘটনার দিন দুপুরের দিকে হঠাৎ জানতে পারি স্কুলে আসার পথে তাকে নাকি এলাকার রক্তিম নামের এক বখাটে তুলে নিয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও অপহরণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জোরালো চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে একটি টিম ঢাকায় গিয়ে পৌঁছেছে। অচিরেই এ ঘটনার রহস্যের জট খুলবে।
মানবকণ্ঠ/এসএ