টেকনাফে তিন লাশ
ঈদগাঁও ও চৌফলদণ্ডিতে কান্নার রোল

- উপজেলা প্রতিনিধি, দৈনিক মানবকণ্ঠ
- ২৫ মে ২০২৩, ২০:৩৬
টেকনাফে উদ্ধারকৃত লাশ সনাক্ত করতে গিয়েছেন ঈদগাঁও ও চৌফলদণ্ডির স্বজনরা। ২৪ রাতে স্বজনদের লাশ দেখতে দেয়া হলেও লাশের বিকৃত অবস্থার কারণে তারা সনাক্ত করতে পারেননি।
টেকনাফে যাওয়া স্বজনরা হলেন ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের সওদাগর পাড়ার মৃত কবির আহমদের ছেলে মোঃ ইউনুস ও তার নিখোঁজ বড় ভাই মোহাম্মদ ইউসুফের স্ত্রী শামসুন্নাহার। তাদের সাথে যান চৌফলদণ্ডি হায়দর পাড়া থেকে নিখোঁজ হওয়া জমির উদ্দিন রুবেলের আপন মাতা ও বোন। এছাড়াও যান কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া থেকে নিখোঁজ ইমরানের পরিবারের সদস্য বৃন্দ।
যে তিনজনের লাশ টেকনাফের দমদমিয়ার গভীর পাহাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে নিখোঁজ ইউসুফের লাশ রয়েছে। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পোস্টমর্টেমের পর আজ বিকেলে লাশটি তার ছোট ভাই ইউনুস ও ইউসুফের স্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোহাম্মদ ইউনুস জানায়, লাশের শরীরে তেমন মাংস নেই। মাথার অবস্থা ও ভালো নয়। তাই সনাক্ত করতে কষ্ট হয়। র্যাব ও টেকনাফ থানা পুলিশ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সহায়তায় বুধবার দুপুর থেকে পৃথক স্থানে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় গর্ত থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় কক্সবাজারের সিআইডির একটি টিম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ইউনুস জানায়, বর্তমানে তারা ইউসুফের লাশটি বাড়িতে আনার জন্য সদর হাসপাতালের সামনে গাড়ির অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকায় এবং লাশ উদ্ধারের খবরে কান্নার রোল পড়েছে জালালাবাদ, চৌফলদন্ডি ও পৌর এলাকার নুনিয়ার ছড়াতে।
অন্যদিকে স্বজনরা শেষ বারের মত তাদের পরিবারের নিখোঁজ সদস্যদের দেখার জন্য অধীর আগ্রহে রয়েছেন। মোহাম্মদ ইউসুফের বড় বোন কুলছুমা আক্তার জানান, তারা তাদের পরিবারের উপার্জনক্ষম ভাইকে হারিয়ে পারিবারিকভাবে অত্যন্ত বেকায়দায় রয়েছেন। তার নিখোঁজ ভাই ইউসুফের স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণরূপে অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।
মানবকণ্ঠ/এসএ


