কুসিক নির্বাচন: প্রার্থীদের প্রতি নির্বাচন অফিসের ৯ নির্দেশনা


  • অনলাইন ডেস্ক
  • ১৪ মে ২০২২, ২১:৪১

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় কী কী করতে পারবেন এবং পারবেন না তা জানিয়ে পুরো নগরীতে মাইকিং করেছে জেলা নির্বাচন অফিস। এ সময় প্রার্থীদের সতর্ক করার পাশাপাশি দেওয়া হয় ৯টি নির্দেশনা।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় চলে এ প্রচারণা। কুসিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

মাইকিং করে প্রার্থীদের যে ৯টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো-

১. মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল বা শোডাউন করা যাবে না। ২. কোনো প্রার্থী পাঁচজনের অধিক সমর্থক নিয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ বা জমা দিতে পারবেন না। ৩. প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না। ৪. প্রচারণা চলাকালীন পথসভা ও ঘরোয়া সভা ব্যতীত কোনো প্রকার জনসভা বা শোভাযাত্রা করতে পারবেন না। ৫. প্রচারণার জন্য নির্ধারিত পোস্টার সাদাকালো রঙের হতে হবে এবং সেটির আয়তন ৬০/৪৫ সেন্টিমিটারের বেশি হতে পারবে না। ৬. নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রার্থী পোস্টার বা লিফলেটে নিজ ছবি ও প্রতীক ব্যতীত অন্য কারো নাম, ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টার বা লিফলেটে ছাপাতে পারবেন। ৭. মেয়র প্রার্থীরা প্রতিটি থানাধীন এলাকায় সর্বোচ্চ দুটির অধিক এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা একটির অধিক নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারবেন না। ৮. নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রকার গেট, তোরণ, আলোকসজ্জা ব্যবহার করতে পারবেন না। ৯. এছাড়া প্রার্থীদের সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচনী আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ এর অন্যান্য বিধিবিধান অনসরণপূর্বক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব নেয়ার পর সবচেয়ে বড় নির্বাচন হচ্ছে কুমিলা সিটি কর্পোরেশনে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) প্রতিনিয়ত সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। সততা ও নিরপেক্ষতা দিয়ে কুমিল্লা নগরবাসীকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত আচরণবিধি প্রচার করা হয়েছে। প্রযোজনে প্রার্থীরা নির্বাচন অফিসে এসে বিস্তারিত জেনে যাবেন। তবে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে এবং তা প্রমাণ হলে আমরা তার প্রার্থীতা বাতিল করব।


poisha bazar