কুমিল্লাকে বৌদ্ধ ট্যুরিজম সার্কিটের আওতায় আনা হবে


- প্রতিনিধি, দৈনিক মানবকণ্ঠ
- ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৫৪
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সমূহের বৌদ্ধ ট্যুরিজম সার্কিটে অন্তর্ভূক্ত করার লক্ষ্যে কুমিল্লার প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকাসমূহ পরিদর্শন করেছেন বিম্সটেক-এর মহাসচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. শহীদুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) কুমিল্লার ময়নামতি ও লালমাই পাহাড়ী এলাকার বিভিন্ন প্রত্ন-পর্যটন স্পট সমূহ তিনি পরিদর্শন করেন। সপ্তম-অষ্টম শতকে কুমিল্লায় গড়ে ওঠা বৌদ্ধ ধর্মীয় বিভিন্ন নিদর্শন ঘুরে দেখেন। কোটবাড়ীর শালবন বিহার, রূপবান মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, ওয়ার সিমেট্রি, রাণী ময়নামতির প্রাসাদ, সংগীতজ্ঞ শচীনদেব বর্মণের বাড়িতে যান বিম্সটেক মহাসচিব।
এসময় প্রত্নতাত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান, সামাজিক সংগঠন ‘ঐতিহ্য কুমিল্লা’র পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ময়নামতি জাদুঘরের কাষ্টোডিয়ান মো: হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ নিয়েগঠিত আঞ্চলিক জোট ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কপারেশন’ (বিম্সটেক)-এর মহাসচিব এম. শহীদুল ইসলাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, আন্ত: আঞ্চলিক ট্যুরিজম সার্কিট গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে বিম্সটেক। সে লক্ষ্যে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সমূহের বৌদ্ধ ট্যুরিজম সার্কিটের গড়ে তুলতে কুমিল্লার প্রত্নতাত্ত্বি এলাকা সমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। এজন্যে কুমিল্লার এসব প্রত্নতাত্ত্বি এলাকা সমূহের উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে তিনি গুরুত্বারুপ করেন।
বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি-সমৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়নে আরও বৃহত্তর ভূমিকা রাখাতে ১৯৯৭ সালের ৬ জুন বিমসটেক প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর সদস্যভুক্ত দেশ সমূহ হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভূটান।
২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিমসটেক-এর সদরদপ্তর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মানবকণ্ঠ/এইচকে
আরো সংবাদ
